এমন অনেকেই রয়েছেন যারা রাতে ঘুমানোর পরও দিনের বেলায় তাদের ঘুম পায়। আবার ক্লান্তি অনুভবও করেন তারা। এ ধরনের সমস্যা অনেকেই স্বাভাবিক মনে করে থাকেন। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে সেভাবে কখনো ভাবেনও না।
ভারতীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সপ্তাহে তিনদিন অন্তত এই ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু কেন এই সমস্যা হয়, তা কী জানেন? বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থেকেই এই ধরনের সমস্যা হয়। এছাড়াও এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া: রাতে আপনার ঘুম না হলে এ সমস্যা হবেই। আর যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তাহলে দিনে সমস্যা আরও বেশি হয়ে থাকে। সারাদিন চোখজুড়ে ঘুম থাকে। এ জন্য রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চা, কফি পানীয় থেকে যতটা সম্ভব দূরত্বে থাকা ভালো। আর অন্তত এক ঘণ্টা আগে মোবাইল ফোন বা টেলিভিশন দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস: খাবার হচ্ছে শরীরের শক্তির প্রধান উৎস। এজন্য খাদ্যতালিকায় সবসময় সুষম খাবার রাখতে হবে। প্রতিদিন রুটিন অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। প্রসেসড ফুড, জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড ও মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। সুস্থ থাকতে শাক-সবজি, রকমারি ফল, মাছ, মাংস, ডিম ও দুগ্ধজাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। কেননা, সঠিক পুষ্টি না থাকলে শক্তির ঘাটতি দেখা দেবে এবং তাতে ক্লান্তি ও ঘুম আসবে।
শারীরিক পরিশ্রমের অভাব: অনেকেই আছেন যারা একদমই শারীরিক পরিশ্রম করতে চান না। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুয়ে-বসে থাকার কারণেও শক্তির ঘাটতি হয়। এজন্য চোখে ঘুমের রেশ লেগে থাকে। তাই দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। সেটিও সম্ভব না হলে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটির চেষ্টা করুন।
অনেকেই অতিরিক্ত স্ট্রেসে থাকেন। ক্যারিয়ার বা কর্মস্থল কিংবা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। এ থেকে স্ট্রেস হরমোন বের হতে থাকে। ফলে সারাদিন ঘুম পায়। এজন্য অযাচিত স্ট্রেস কমাতে হবে। আবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন―আয়রন, ভিটামিন বি১২ ও ডি’র মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ঘাটতি থেকেও শরীর ক্লান্ত হতে পারে। আর ক্লান্তির সঙ্গে স্লিপ অ্যাপনিয়া, হাইপোথাইরয়েডিজম, ক্যানসার, ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, কিডনি রোগ, ডায়াবেটিসের মতো রোগের সর্ম্পক্ততা থাকে। আর কারও যদি দীর্ঘদিন ধরে ক্লান্তিভাব থাকে, তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।