থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বাইরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের বহনকারী একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ জনের বেশি শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির পরিবহনমন্ত্রীর মতে, ১৬ শিশু এবং তিনজন শিক্ষক প্রাণে বেঁচে ফিরলেও আরো ২২ জন শিক্ষার্থী ও তিনজন শিক্ষক নিখোঁজ রয়েছেন।
বিবিসি থাই সার্ভিসের খবরে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা বাসের ভেতর থেকে ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন।তদন্তকারীরা আগুনের তাপের কারণে গাড়িতে প্রবেশ করতে পারেনি বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ উথাই থানির একটি স্কুল ফিল্ড ট্রিপ থেকে ফিরে আসা শিশু ও শিক্ষকদের বহনকারী তিনটি বাসের মধ্যে একটি বাস ছিল এটি।পরিবহনমন্ত্রী সুরিয়াহে জুয়াংরুংরুংকিত বলেছেন, ‘বাসটি প্রাকৃতিক গ্যাসের সাহায্যে চলত। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।
মন্ত্রণালয়কে অবশ্যই একটি ব্যবস্থা খুঁজে বের করতে হবে… যদি সম্ভব হয়, যাত্রীবাহী যানবাহনের জন্য এই ধরনের জ্বালানি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে, কারণ এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’এদিকে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা বলেছেন, ‘একজন মা হিসেবে আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘সরকার সকল চিকিৎসা খরচ বহন এবং নিহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে।’
স্থানীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও ফুটেজে একজন উদ্ধারকর্মী বলেছেন, ‘বাসটি ব্যাংককের একটি মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় একটি চাকা ফেটে গিয়ে একটি কংক্রিটে ধাক্কা খায়। এরপর আগুন ধরে যায়। ভিডিওতে আরো দেখা যায়, একটি ওভারপাসের নিচে পুড়ে যাওয়া বাস থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। বাসের ভেতরে থাকা শিশুদের বয়স কত ছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে এই স্কুলে তিন থেকে ১৫ বছরের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে।
থাইল্যান্ডে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ সড়ক নিরাপত্তার রেকর্ড রয়েছে। অনিরাপদ যানবাহন এবং দুর্বল ড্রাইভিংয়ের কারণে সড়কে বার্ষিক মৃত্যুর হার অনেক বেশি।