রুশ বাহিনীর সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের মতো যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করে রুশ বাহিনী।এখন সেখানে তুমুল যুদ্ধ চলছে।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই অস্ত্র সজ্জিত রুশ সেনার সামনে প্রতিবাদ করে অসীম সাহসের পরিচয় দিয়েছেন ইউক্রেনের একজন নারী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভারী অস্ত্রধারী এক রুশ সেনার সঙ্গে তর্ক করছেন ওই নারী। রুশ সেনার কাছে তিনি পরিচয় জানতে চান। জবাবে রুশ সেনা বলেন, তাদের অনুশীলন আছে এবং ওই নারীকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।
সেনা সদস্যকে ওই নারী বলেন, ‘তুমি এখানে এসেছ কেন? কেউ তোমাকে চায় না। তোমার পকেটে সূর্যমুখী বীজ রাখা উচিত, যাতে তোমার মৃত্যুর পর ইউক্রেনের জমিতে সেটা ফলানো যায়’। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের জাতীয় ফুল সূর্যমুখী।
এদিকে, রুশ সামরিক অভিযানের প্রথম দিনে দেশটিতে অন্তত ১৩৭ জন মারা গেছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে ইউক্রেন একাই যুদ্ধ করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এই যুদ্ধে পশ্চিমা বন্ধুদের পাশে পাননি বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার নৃশংস হামলা বন্ধ করতে এবং ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য পশ্চিমা মিত্রদের কাছে তাই আবার আবেদন জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
তবে প্রথম থেকে ইউক্রেনকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়ার হলেও যুদ্ধের মাঠে দেশটিকে সহায়তায় এগিয়ে আসেনি পশ্চিমারা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ রাশিয়ার ওপর শুধু নিষেধাজ্ঞা দিয়েই থেমে গেছে। এ জন্য হতাশা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
মস্কোর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন। এর কয়েক মিনিট পরই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে সেখানে ‘শান্তি ফেরাতে’ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন। পুতিনের ঘোষণার পর সেখানে গোলাবর্ষণ আরও তীব্র হয়েছে।