তিন মাসের মধ্যে বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি চালু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভর্মা।
তিনি বলেছেন, কয়লা সংকট একটা অপারেশনাল ইস্যু। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, এই সংকট কেটে যাবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি চালু হবে এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।
আজ শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে ছিলেন প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে, বাংলাদেশে-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লাহসহ ভারতীয় হাইকমিশন ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশে-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় রামপাল কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। ডলার রিলিজ করতে কিছুটা সময় লাগার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে সমস্যা সমাধান হওয়ায় নতুন করে কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ সেখান থেকে রওনা দিয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কয়লাবাহী জাহাজটি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এসে পৌঁছাবে।
সাইদ একরাম আরও বলেন, এখন থেকে নিয়মিত কয়লা আসবে। এছাড়া দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে জোরেশোরে কাজ চলছে। সবমিলিয়ে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে কোনও সমস্যা হবে না।
ডলার সংকটের জেরে কয়লা আমদানি না হওয়ায় গত ১৪ জানুয়ারি রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ডলার সংকটে এলসি খুলতে না পারায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায় গত ১৪ জানুয়ারি সকাল থেকে কয়লা না থাকায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার প্রথম ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়।