তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে পূর্ব গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। তবে কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক দাবির কাছে নতি স্বীকার করা হবে না বলেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে আন্দোলনের মাঠ গরম করার পাঁয়তারা করছে ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগ। বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে সরকারকে নিশ্চিত করা হয়েছে, এই আন্দোলনের পেছনে আওয়ামী লীগের ইন্ধন রয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত ১২ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একুশে বইমেলা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং তার কারণে জনজীবন বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়। এরপর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে ডেকে আনা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়— তিতুমীর কলেজের পরিস্থিতি আরও পর্যালোচনা করার পর অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে। এই কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারের অবস্থান এবং তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা করবেন।
সরকারের পক্ষ থেকে ধৈর্য ধারণ করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার দাবিতে যে আন্দোলন, তাতে জনগণের নাবিশ্বাস উঠেছে এবং সরকারেরও নাভিশ্বাস অবস্থা। তারা দেশের লোকজনকে আন্দোলনকারীরা অতিষ্ঠ করে ফেলেছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন, এবং পুলিশ ও বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।