ঢাকার বাইরে যশোরে প্রথম পার্সোনালাইজেশন সেলের মাধ্যম ই-পাসপোর্ট ছাপানো কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার (৩ অক্টোবর) যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ফিতা কেটে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি বলেন, পাসপোর্ট অধিদপ্তর আগের সেই বদনাম নিতে রাজি নয়। দেশ উন্নয়ন হচ্ছে, আমাদেরও উন্নয়ন হচ্ছে। সেইসঙ্গে মানুষের পাসপোর্টের চাহিদাও বাড়ছে। যার ফলে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে একটু সময় লাগবে। আমরা উন্নয়নের অংশীদার হতে চাই। তাই পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কারো বদনামের ভাগ নেব না। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের যেই হোক না কেন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজকে এ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর এখন যশোর থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ই-পাসপোর্ট স্বল্পতম সময়ে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়া এটি ঢাকার পার্সোনালাইজেশন সেন্টারের ব্যাকআপ হিসেবেও কাজ করবে। ওভার টাইম ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে এখন দিনে তিন হাজার পাসপোর্ট ছাপানোর সক্ষমতা রয়েছে। তবে এ ১০টা অঞ্চলের চাহিদা রয়েছে এক হাজার থেকে কিছু বেশি।
ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার প্রলয় জোয়াদ্দার।
অনুষ্ঠান থেকে পাঁচজন গ্রাহকের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেন অতিথিরা। আর দ্রুত সময় পাসপোর্ট হাতে পেয়ে খুশি পাসপোর্ট গ্রহীতারা।
ই-পাসপোর্ট হাতে পেয়ে মৌসুমী সুলতানা বলেন, পাসপোর্ট পাওয়ার পর মনে হচ্ছে এখনই ভিসা করে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাই। অনকদিন ধরেই চাচ্ছিলাম আমার একটি ই-পাসপোর্ট হোক। এত অল্প সময়ে পাসপোর্টটি পেয়ে আমি খুব খুশি।
নাজমুল নামে আরেকজন পাসপোর্ট গ্রহীতা বলেন, ১১ দিনের মধ্যে আমি পাসপোর্টটি পেয়েছি। ভোগান্তি ছাড়া দ্রুত সময় পাসপোর্টটি হাতে পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে।