দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই নিয়েছেন। আবার অনেকে একটি নিয়ে আরেকটির জন্য অপেক্ষা করছেন।
আবার অনেকেই ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করছেন! অনেকেই ভয় পাচ্ছেন যে, করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে জ্বর, শরীর ব্যথাসহ স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা দেখে দেবে কি না।
সিডিসির (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেশন) পরামর্শ অনুযায়ী, করোনা ভ্যাকসিন প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রযোজ্য। এই ভ্যাকসিন সবাইকেই নিতে হবে। শুধু করোনা ভ্যাকসিন নয়; যেকোনো ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই জ্বর বা ভ্যাকসিন নেওয়ার স্থান ফুলে ব্যথা হওয়া, খুবই সাধারণ বিষয়।
ঠিক তেমনি কোভিড ভ্যাকসিন গ্রহণের পর হাতের ওই স্থানে ব্যথা, লালচে ভাব ও ফুলে যেতে পারে। এর সঙ্গে দু-একদিন জ্বরও থাকতে পারে হালকা। ভ্যাকসিনের সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এগুলো প্রকাশ পায়।
এর সঙ্গে অনেকের ক্ষেত্রে ক্লান্তি, মাথাব্যথা, পেশি ব্যথা, ঠান্ডাজ্বর ও বমি বমি ভাব থাকে। এসব সমস্যা দু-তিনদিনের বেশি দেখা দিলে এবং অতিরিক্ত শারীরিক সমস্যায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সিডিসির পরামর্শ অনুযায়ী, কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণের পর যদি তীব্র অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লাখ লাখ মানুষ করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তবে কারও ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে যা করবেন-
টিকা নেওয়ার পর সেই স্থান অনেকেরই ব্যথা হচ্ছে। সিডিসির পরামর্শ অনুযায়ী, ব্যথার সঙ্গে পেশী ফুলে যেতে পারে। এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। এটি সাময়িক।
আপনি ঠান্ডা পানি কিংবা আইসব্যাগ দিয়ে সেঁক দিতে পারেন। ব্যথা কমে যাবে। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার ও পানি পান করতে হবে। পাতলা পোশাক পরতে হবে। ব্যথার স্থান বেশি স্পর্শ করা যাবে না।
অনেকে টিকা নেওয়ার আগে থেকেই ব্যথা কমানোর জন্য পেইকিলার খেয়ে থাকেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র তরফ থেকে টিকা নেওয়ার আগে কোনোরকম প্রিভেন্টিভ ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়নি। যদি টিকা নেওয়ার পরে ব্যথা হয়, সমস্যা দেখা দেয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া যাবে।