বিশ্বব্যাপী অন্তত ২৪টি অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের ঘটনা ঘটেছে, যার জন্য মানবসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণকরণ দায়ী। এসব তাপপ্রবাহের কারণে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ায় বহু মানুষের প্রাণ গেছে।
গবেষকরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত তাপ সৃষ্টি না করলে এসব তাপপ্রবাহ ঘটার কোনো আশঙ্কাই ছিল না। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
অধিকতর গবেষণায় দেখা যায়, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণেই চরম আবহাওয়া দেখা দিচ্ছে। এর জেরে লাখ লাখ মানুষ ও নবজাতকের মৃত্যু হচ্ছে। গবেষণায় অস্বাভাবিক ৫৫০টি তাপপ্রবাহ, বন্যা, ঝড়, খরা ও তাপদাহের কথা উল্লেখ করা হয়। কয়েকশ গবেষণা প্রতিবেদন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে গবেষণা প্রতিবেদনটি কার্বন ব্রিফ নামের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, স্বাভাবিকের চেয়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা এখন ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
এ প্রেক্ষাপটে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বসেছে জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯-এর আসর। সেখানে কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার জোর দাবি উঠলেও তা বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ইউরোনিউজ জানায়, সম্মেলন ঘিরে হতাশা কাটছে না। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অর্থ সরবরাহ, কার্বন নির্গমন রোধসহ নানা ইস্যুতে এখনও চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি বিশ্বনেতারা।