বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে বদলির এক দিন না যেতেই বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দীন আহমেদকে এবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো। আজ সোমবার তাকে অবসরে পাঠিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শোভন রাংসা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জালাল উদ্দীন আহমেদকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এর একদিন না যেতেই আজ সোমবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এ এম আকমল হোসেন আজাদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরের আদেশ জারি করেন।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যেহেতু বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদের (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলির আদেশাধীন) চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং যেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন বলে বিবেচনা করে; সেহেতু সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৪ অক্টোবর বেলা ১১টায় বাগেরহাট সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে জরায়ু মুখে ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) প্রতিরোধী টিকা প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানের উপস্থিতিতে বক্তব্যের শেষে জয় বাংলা স্লোগান দেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. মো. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ। বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সিভিল সার্জেনের অপসারণের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। ওই দিন রাতেই বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও যুবদলের নেতৃত্বে সিভিল সার্জনের অপসারণের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে ২৭ অক্টোবর একই দাবিতে সচেতন বাগেরহাটবাসীর ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।