বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরাফাত (১১) নামে আরও এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তার মৃত্যু হয়। আরাফাত মাদরাসা শিক্ষার্থী ছিল।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক (দপ্তর সেল) জাহিদ আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করে শোকবার্তা দিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, শহীদদের মিছিল ভারি করে গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা, গুলিবিদ্ধ আরাফাত শাহাদাতবরণ করেছেন। রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হয়ে তিনি শাহাদাতবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
শোকবার্তায় আরও বলা হয়েছে, শাহাদাতবরণ যেভাবে আমাদের বেদনাতুর করে, সেভাবেই সাহস এবং উৎসাহ জোগায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের। আমরা শহীদদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে একবিন্দুও পিছপা হবো না। শহীদ আরাফাতের মৃত্যুসহ জুলাই গণহত্যার কুশীলব শেখ হাসিনা, তার সঙ্গী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং গুলি চালানো বাহিনীর সব সদস্যদের অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। শহীদ আরাফাতের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
আরাফাতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট উত্তরার আজমপুর পূর্ব থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয় আরাফাত। এরপর প্রথমে তাকে আধুনিক হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ফেরত দেওয়া হয়। এরপর নেওয়া হয় কুর্মিটোলা হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে সিএমএইচে পাঠানো হয়। সাড়ে ৪ মাস সেখানে ভর্তি থাকার পর রোববার রাতে সে মারা যায়।