শুক্রবার (৫ মে) চাঁদের উপচ্ছায়া গ্রহণ হবে। তবে বাংলাদেশ থেকে গ্রহণটি দেখা যাবে না। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, উপচ্ছায়ায় চাঁদ প্রবেশ করবে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ৯টা ১২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে। মধ্যবর্তী গ্রহণ হবে রাত ১১টা ২৩ মিনিটে। উপচ্ছায়া থেকে চাঁদের নির্গমন হবে রাত ১টা ৩৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে।
বিশ্ব কখনো কখনো পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে। যখন পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করে, তখন সূযের আলো পৃথিবীতে আসতে বাধা পায়, এতে চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে।
তখন পৃথিবীর মানুষের কাছে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। এ ঘটনাকে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। তবে উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ তখনই হয় যখন সূর্য ও চন্দ্রের মাঝামাঝি পৃথিবী চলে এলেও একই সরলরেখায় থাকে না।
চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে নানা গল্পকাহিনি প্রচলিত আছে এই বিশ্বে। যুগ যুগ ধরে এসব প্রচলিত কল্পকাহিনি ছড়িয়েছে বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
চন্দ্রগ্রহণ চলাকালীন খাওয়া যাবে না কিংবা গর্ভবতীরা ধারালো বস্তু ব্যবহার করতে পারবেন না এসব নানা তথ্য অনেকেরই হয়তো জানা।
তবে এগুলোর আদৌ কি কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা আছে কি না তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু মিথ বা প্রচলিত কল্পকাহিনির কথা-
বেশ কিছু ঐতিহ্যগত বিশ্বাস অনুসারে, গ্রহণ নাকি মানুষের জীবনে বিশেষ করে স্বাস্থ্যে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
অলসতা
প্রচলিত মিথ অনুসারে, সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণের সময় নাকি মানুষ অলসতা বোধ করেন। এক্ষেত্রে নাকি গ্রহণ মানুষের শক্তিতে খারাপ প্রভাব ফেলে। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা নেই।
হজমে সমস্য
অনেকেই বিশ্বাস করেন, সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণের সময় খাওয়া বা পান করা উচিত নয়। কারণ এ সময় নাকি পাচনতন্ত্র ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এটিও একটি মিথ বা ভুল ধারণা। এর কোনো বৈজ্ঞানিক সত্যতা নেই।
মেজাজে পরিবর্তন
সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কিত ভুল ধারণাগুলোর মধ্যে আরও একটি হলো, এ সময় নাকি মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয়। এটিও যথারীতি একটি ভুল ধারণা।
গর্ভাবস্থা
চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে ধারালো বস্তু ব্যবহার করতে নিষেধ করেন অনেকেই। এটিও একটি প্রচলিত ভুল ধারণা।
এছাড়া বাসি খাবার খাওয়া কিংবা ঘর থেকে বের না হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা এসবের আসলে কোনো বৈজ্ঞানিক সত্যতা নেই।
সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ যে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই ভালো।
পিএসএন/এমঅাই