চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে ইসকন সমর্থকদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ অ্যাডভোকেট এনামুল। তিনি বলেন, ‘নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী ছিলেন।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) হুমায়ুন করীর বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের হামলায় এক আইনজীবী নিহতের খবর পেয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সঙ্গে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কায়েছ উদ্দিন দিদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম রঙ্গন কমিউনিটি সেন্টারের গলির মুখে ছিলেন। সেখান থেকে চিন্ময় সমর্থকরা তাকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’
সিনিয়র আইনজীবী নুরুল মোস্তফা সোহেল বলেন, ‘মসজিদে হামলার খবর পেয়ে আলিফ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। সেখান থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
এর আগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন না মঞ্জুর করায় তার বহন করা প্রিজনভ্যানটি আদালত প্রাঙ্গণে আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখেন তার সমর্থকরা। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থকরা বিভিন্ন স্থাপনা ও আইনজীবীদের গাড়িতে হামলা শুরু করে।
ছত্রভঙ্গ হয়ে ইসকন সদস্যরা আদালতের কেন্দ্রীয় মসজিদের জানালার কাচ ভাঙচুরের অভিযোগ করেন মুসল্লিরা। এছাড়া আইনজীবীদের পাঁচটি প্রাইভেটকার ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে নগরের লালদিঘী ও কোতোয়ালি এলাকায় তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মুসল্লিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রাস্তা ফাঁকা করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছুড়লে ইসকন কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন ভবনে ও গাড়িতে হামলা শুরু করে।’