বেশি করে চিজ দেওয়া পাস্তা বা পিজ্জা খাওয়ার মজাই আলাদা। বিভিন্ন খাবারকে আরও বেশি সুস্বাদু করে তুলতে চিজের জুড়ি মেলা ভার। বিভিন্ন ধরনের চিজের মধ্যে মোজারেলা বেশ জনপ্রিয়। যদিও চিজে অনেক ক্যালোরি থাকে।
এছাড়াও এতে অত্যাধিক চর্বি থাকায় অনেকেই এড়িয়ে যান চিজ। তবে স্বাস্থ্য সচেতনরা কিন্তু এ কথা মানতে নারাজ। এ কারণে মোজারেলা চিজ সবার কাছেই প্রিয়।
যারা ঘরেই বিভিন্ন খাবার তৈরি করেন তারা হয়তো বাজার থেকে এই চিজ কেনেন। তবে চাইলেই কিন্তু সহজ উপায়ে ঘরেই তৈরি করতে পারেন মোজারেলা চিজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক মোজারেলা চিজ তৈরির সহজ পদ্ধতি-
উপকরণ
১. খাঁটি গরুর দুধ ৪ লিটার
২. সাইট্রিক এসিড দেড় চা চামচ (১/৪ কাপ পানিতে মেশাতে হবে)
৩. তরল রেনেট ১/৪ কাপ অথবা ট্যাবলেট রেনেট ১/২টি (১/৪ কাপ পানিতে মেশাতে হবে)
৪. মিহি লবণের গুঁড়া ১ চা চামচ
৫. খাবারের তাপমাত্রা মাপার থার্মোমিটার ও
৬. লোহার পাত্র।
* সাইট্রিক এসিড ও রেনেট বড় মসলার দোকান বা সুপার শপে খুঁজলেই পাবেন।
পদ্ধতি
প্রথমে বড় লোহার পাত্রে দুধ ঢেলে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন। দুধ নাড়তে নাড়তে কিছুক্ষণ পড়ে তাপমাত্রা ৫৫ ডিগ্রি হলে দুধে সাইট্রিক এসিড মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ সাইট্রিক এসিড দিতে হবে।
এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরেকটু বেড়ে ৮৮ হলে রেনেট এর মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এ সময় দেখবেন, দুধ কিছুটা ঘন হয়ে আসবে ও হালকা ছানা হয়ে চামচে লেগে যাবে।
তাপমাত্রা যখন ৯০ হবে তখন প্রায় পুরো দুধটাই ছানা হয়ে যাবে। এ সময়ে খুব ধীরে ধীরে নাড়তে হবে। নাহ লে পনির ঠিকমতো জমবে না।
তাপমাত্রা ৯৫-১০৫ ডিগ্রি হলে পনির ঘন যাবে। একইসঙ্গে পানিও আলাদা হয়ে যাবে। এ সময় ঢাকনা দিয়ে ভালো করে ঢেকে রাখুন। এরপর ১০৫ ডিগ্রিতে আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দেওয়ার পর ঢাকনা তুলে নিন।
এবার জমে যাওয়া পনির আলাদা করে পানি ঝরানোর জন্য চালনিতে রাখুন। পনিরের পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে জ্বাল দিন। তাপমাত্রা ১৭৫ হলে চালনিসহ পনির কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন।
এরপর চালনি থাকে পনির তুলে ভালো করে চিপে পানি ছড়িয়ে ফেলুন। এবার পনিরটাকে ভালো করে মথে নিন ও হাত দিয়ে গোল বলের মতো আকৃতি দিন। বরফ পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন পনির।
এতে পনির আরও ভালো করে জমবে। ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো মজাদার মোজারেলা চিজ বা পনির। বাক্সে ভরে মুখ আটকে ফ্রিজে বেশ কিছুদিন সংরক্ষণ করতে পারেন এই পনির।