খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন গাইকুর এলাকা থেকে এক কিশোরকে হাত-পা-চোখ বাঁধা ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজনেরা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে।
গতকাল সোমবার বিকেলের দিকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
নিহত ইউশাহ (১৭) আড়ংঘাটা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খায়রুজ্জামান ববির ছেলে। সে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় আড়ংঘাটা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন বলেন, ‘ঘটনাটি সোমবার বিকেলের। ওই দিন ছেলেটির বাবাসহ তাঁর স্বজনরা ছেলেটির গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরাও হাসপাতালে যাই। ছেলেটিকে দেখি। তার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করি। এ ব্যাপারে সোমবার রাতেই আড়ংঘাটা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি রহস্যজনক। ছেলেটি আত্মহত্যা করলে তার হাত-পা বাঁধা থাকবে কেন? ইতিমধ্যে আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ প্রশ্নের উত্তর পেতে সহজ হবে। আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি।’
পারিবারিক সূত্র জানায়, ইউশাহর মা-বাবা ঘটনার দিন বেলা ২টার দিকে দাওয়াত খাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। যাওয়ার সময় ছেলেকে মুরগির খাবার দেওয়ার জন্য বলে যান। তাঁরা দাওয়াত খেয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফিরে এসে বাড়ির গেটের দরজা বন্ধ পান। মূল গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার পর ছেলেকে ডাকাডাকি করতে থাকেন।
ডাকাডাকিতে ছেলের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তার বাবা জানালা দিয়ে পা বাঁধা, পেছনে হাত বাঁধা, চোখে গামছা, বাঁশের আড়ার সঙ্গে ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে নামিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ইউশাহর বাবা খায়রুজ্জামান ববি বলেন, ‘আমার ছেলে আত্মহত্যা করেনি। কে বা কারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।