খুলনায় ভোক্তা অধিকারের নজিরবিহীন অভিযান চলছে। ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলার অধীনস্থ কার্যালয়গুলোর ৬টি দল মাঠে নামে। সকাল থেকেই চাল, ভোজ্যতেল, ডিম, সবজি, পেঁয়াজ, মুরগি, ওষুধ, ডায়াগনস্টিক সেবা—সবকিছুর ওপর চলে কঠোর নজরদারি। একের পর এক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে মূল্যতালিকা ও ভাউচার যাচাই করা হয়। বিক্রেতাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সরকার নির্ধারিত দামের বাইরে কোনো লেনদেন চলবে না। অনিয়ম পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা।
এই অভিযানে খুলনা মহানগরীর বয়রা বাজারে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদনের অপরাধে এরাবিয়ান বাইটস-কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দৌলতপুর ও রেলিগেট এলাকায় অভিযানে মোড়ক আইন লঙ্ঘনের কারণে এলেম এন্টারপ্রাইজকে গুণতে হয় ৩১ হাজার টাকা। কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও পণ্য রাখার অভিযোগে আরাফাত ফার্মেসি ও আল-আমিন হার্ডওয়্যারকে মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে মাগুরার কুকনা বাজারে খাবারে নিষিদ্ধ উপাদান ব্যবহারের অপরাধে রংধনু রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে অধিদপ্তর। সাতক্ষীরার রেউই বাজারে মাসুদ স্টোরকে মোড়ক লঙ্ঘনের জন্য দিতে হয় ১২ হাজার টাকা। নড়াইলের টার্মিনাল বাজারে আল-আমীন বেকারিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় খাদ্যদ্রব্যে নিষিদ্ধ উপাদান মেশানোর অভিযোগে।
সব মিলিয়ে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে অভিযান টিম। ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়, মূল্য তালিকা দোকানে দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।