খুলনা মহানগর এবং জেলায় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ইস্যু করা হয়েছে ৬০৭টি। এর মধ্যে একনলা বন্দুক, দোনলা বন্দুক, পিস্তল, রাইফেল, শটগান, রিভলবার, এনপিবি পিস্তল ছিল।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬০৭টি বৈধ অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ৩১২টি। এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জমা পড়েনি প্রায় ৩শ অস্ত্র। গুলি জমা পড়েনি প্রায় ৪ হাজার ৭৮১ রাউন্ড।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে যেসব অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়া হবে সেগুলোকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সূত্র জানায়, গত সাড়ে ১৫ বছরে নগরীর আটটি থানায় মোট বৈধ অস্ত্র ইস্যু করা হয়েছিল ৩৬৫টি। এর মধ্যে খুলনায় থানায় ৪৯টি, সোনাডাঙ্গা থানায় ২১৬টি, লবণচরা থানায় ১০টি, হরিণটানা থানায় ৫টি, খালিশপুর থানায় ৫৮টি, দৌলতপুর থানায় ১৪টি, আড়ংঘাটা থানায় ১০টি এবং খানজাহান আলী থানায় ৩টি। অস্ত্র জমা পড়েছে ১৩৭টি। এসব থানায় বৈধ গুলি ছিল ৭ হাজার ১৭১ রাউন্ড এবং গুলি জমা পড়েছে ৪ হাজার ৭২১ রাউন্ড।
অন্যদিকে খুলনা জেলার দিঘলিয়া, রূপসা, তেরখাদা, ফুলতলা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, কয়রা, দাকোপ এবং বটিয়াঘাটা থানায় মোট বৈধ অস্ত্র ২৪২টি এবং গুলি ৬ হাজার ৩৭৬ রাউন্ড। মঙ্গলবার সকাল ১০টা অবধি ১৭৫টি অস্ত্র এবং ৪ হাজার ৪৫ রাউন্ড গুলি জমা পড়েছে।