খুলনা কৃষি অঞ্চলের ৪জেলায় প্রণোদনায় কর্মসূচির আওতায় খরিপ ২০৪-২৫ মৌসুমে রোপা আমন ধানের উফশী জাতের বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে এবং দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে পুন:বাসন কর্মসূচির আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে রোপা আমন আমন বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।
খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইলে ৭৪ হাজার ৪০০ কৃষকের মাঝে ৫৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। নগদ টাকার পরিবর্তে প্রতিজন কৃষক প্রতিবিঘার জন্য ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পেয়েছেন।
সূত্র জানান, উপকারভোগী কৃষকের মধ্যে প্রণোদনায় কর্মসূচির আওতায় রয়েছেন ৬৮হাজার। এদের মধ্যে খুলনা জেলার ৯৬০০জন। বরাদ্দকৃত টাকা ৬৭.৯২০০০ লাখ। বাগেরহাট ৭০০০ জন। বরাদ্দকৃত টাকা ৪৯.৫২৫০০ লাখ টাকা। সাতক্ষীরা ৮৬০০ জন। বরাদ্দকৃত টাকা ৬০.৮৪৫০০ লাখ টাকা এবং নড়াইল ৪০০ জন। বরাদ্দ কৃত টাকা ২৮.৩০০০ লাখ।
দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ৪২০০ জন। ২৯.৭১৫০০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এদের মধ্যে খুলনায় ১০০০জন। বরাদ্দকৃত টাকা ৭.০৭৫০০ লাখ। বাগেরহাট ১৪০০ জন। বরাদ্দকৃত টাকা ৯.৯০৫০০ লাখ টাকা। সাতক্ষীরা ১৮০০ জন। বরাদ্দকৃত টাকা ১২.৭৩৫০০ লাখ।
ঘুর্নিঝড় রিমেলে ক্ষতিগ্রস্ত ৪২০০০ জন কৃষকদের মধ্যে ২৯৭.১৫০০০ লাখ টাকা রবরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে খুলনায় কৃষক ১২০০০ জন। বরাদ্দকৃত টাকা ৮৪.৯০০০০ লাখ টাকা। বাগেরহাট কৃষক ২২০০০ জন। বরাদ্দকৃত টাকা ১৫৫.৬৫০০০ লাখ টাকা। সাতক্ষীরা কৃষক ৩০০০ জন। বরাদ্দকৃত টাকা ২১.২২৫০০ লাখ টাকা এবং নড়াইলে কৃষক ৫০০ জন। তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৫.৩৭৫০০ লাখ টাকা। উপজেলা কৃষি পুন:বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সুপারিশ মোতাবেক কৃষকের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ বলেন, নানা দুর্যোগে কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার প্রণোদনা দিয়েছেন। যাতে তারা আবারো ফসল আবাদের মাধ্যমে ঘুরে দাড়াতে পারে। কৃষক কৃষি আবাদে উৎসাহি হয়। সোনার ফসল ফলাতে পারে তা হলে দেশ আরো উন্নয়নের দিক এগিয়ে যাবে।