রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুর্স্ক অঞ্চলে ইউক্রেইনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বেশ কিছু উত্তর কোরীয় সেনা নিহত এবং আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে ইউক্রেইনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন।
ইউক্রেইনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জিইউআর সোমবার টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানায়, কুরস্ক অঞ্চলে প্লেখোভো, ভোরোবঝা ও মার্টিনোভকা গ্রামগুলোর কাছে লড়াইয়ে অন্তত ৩০ জন উত্তর কোরীয় সেনা নিহত ও আহত হয়েছে।
এছাড়া, কুরিলোভকা গ্রামের কাছ থেকে অন্তত তিনজন উত্তর কোরিয়ার সেনা নিখোঁজ হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
ওদিকে, ওয়াশিংটন ডিসি-তে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার ইউক্রেইনের এই বিবৃতিকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কুরস্ক অঞ্চলের লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনা নিহত ও আহত হওয়ার লক্ষণ দেখতে পেয়েছে।
আল-জাজিরা জানায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেইনের গোয়েন্দাদের হিসাবমতে, আনুমানিক ১১ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই মোতায়েন হয়েছে কুরস্ক সীমান্তে অঞ্চলে ইউক্রেইনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়তে।
অক্টোবরে রাশিয়ায় উত্তর কোরীয় সেনা উপস্থিতির বিষয়টি সামনে আসার পর এই প্রথম সেখানে যুদ্ধে এই সেনাদের হতাহতের খবর জানাল যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেইন।
গত আগস্টে ইউক্রেইনীয় সেনারা আচমকা কুর্স্কে ঢুকে লড়াই শুরুর পর অঞ্চলটির আংশিক নিয়ন্ত্রণ এই সেনাদের হাতে রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনারা যুদ্ধের অভিজ্ঞতার অভাব এবং ভাষাগত সমস্যার মতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।
পিয়ংইয়ং বা মস্কো কোনও পক্ষই ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েনের বিষয়টি সরকারিভাবে স্বীকার করেনি। তবে সম্প্রতি কয়েকমাসে রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া প্রকাশ্যেই তাদের মধ্যকার সামরিক সম্পর্ক দৃঢ় করেছে।