বিয়ের পর মা নাকি বউকে প্রাধান্য দেবেন? এ নিয়ে নববিবাহিত পুরুষদের মনে দ্বন্দ্ব থেকেই যায়। তারা পড়েন এক মহা সমস্য়ায়। তারা যদি স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন, তা নিয়েও পরিবারে অশান্তি তৈরি হয়। আবার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পরিবারের সঙ্গে থাকলেও সমস্য়া শুরু হতে পারে। মা ও স্ত্রী-এর কথার মাঝখানে পড়ে যান ছেলেটি। তখন ভাবেন মা না বউ কার কথা তিনি শুনবেন? এরকম পরিস্থিতিতে একটি ছেলের কী করা উচিত, যাতে মা ও বউয়ের দুজনেরই মন জয় করতে পারেন?
একদিকে তার মা, যিনি তাকে বড় করেছেন। তার স্নেহের কোনও তুলনা নেই। অন্যদিকে তার স্ত্রী, যিনি তাকে খুব ভালোবাসেন এবং তার জন্য বিয়ে করেছেন। তার পরিবারকে ছেড়ে এসেছেন। করফোট জোন থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এই দুই মানুষ এক নয়, এমন পরিস্থিতিতে দুজনের চিন্তাভাবনাও অনেক বিষয়ে আলাদা হতে পারে। আপনি এই মুহূর্তে কী করবেন?
দূরত্ব তৈরি
এই কথা শুনে আপনাকে অনেকেই দায়িত্বজ্ঞানহীন বলতে পারেন। কিন্তু এটাই সবথেকে ভালো পথ। যখন আপনার স্ত্রী ও মায়ের মধ্য়ে কোনও বিষয় নিয়ে তর্ক হচ্ছে, সেই সময়ে আপনাকে তারা প্রশ্ন করতেই পারেন, কোন মতটি আপনার ঠিক মনে হল? এই সময়ে আপনার যে মতটি ঠিক লাগছে, তা তো আপনি জানাতেই পারেন।
কিন্তু এতে যে কোনও একজনের মনে আপনাকে দুঃখ দিতে হবে। তাই আপনি এরকম বলতে পারেন যে, আপনি বিষয়টা বুঝতে পারছেন না। তারা দুজনে যেন নিজেদের মধ্য়ে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করে নেন।
সময় চেয়ে নিন
মেয়েরা কিন্তু কোনও বিষয়েই হাল ছাড়তে নারাজ। তাই আপনি যখনই মতামত জানানো থেকে পিছিয়ে আসবেন, তারা আপনাকে বারবার সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য় জোর দিতে পারেন। সেই সময় আবেগের বশে কোনও কথা বলে ফেলবেন না। বরং, ঠান্ডা মাথায় উত্তর দিন। তাঁদের কাছ থেকে সময় চেয়ে নিন।
দুইজনের মতামত শুনে নিজের মতো একটি লিস্ট তৈরি করুন। সেখানে দুজনের মতামতের খারাপ দিক ও ভালো দিককে গুরুত্ব দিন। এরপর নিজের মত তাদের জানান, দুইজনকেই বুঝিয়ে বলুন যে, কোনটা খারাপ দিক ও কোনটা ভালো। একজনকে খারাপ ও অন্য়জনের মতামত ভালো বলবেন না। বরং দুজনের মতেই খারাপ ও ভালো দিক বুঝে নিন।
আলাদা আলাদা কথা বলুন
আপনি যদি দেখেন, একজনের কথায় সম্মতি জানালে আপনার বাড়ির শান্তি বজায় থাকছে, সেক্ষেত্রে আপনি কী করবেন? যেমন ধরুন, রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার প্ল্যান হচ্ছে। সেখানে আপনার মা একটি রেস্তোরাঁয় যেতে চাইছেন, বউ আরও একটি রেস্তোরাঁয় যেতে চাইছেন।
এই সময় দুইজনের সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলুন। তাদের পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলুন। তারা আপনার কথা নিশ্চয়ই শুনবেন। আপনার ভালো লাগার কথা তাদের জানালে, সেই কথার দাম নিশ্চয়ই তারা দেবেন।
পরামর্শ নিন
আপনার বাবা বা কোনও বিবাহিত বন্ধু বা আত্মীয়ের পরামর্শ নিতে পারেন। যেহেতু তাঁরা ইতিমধ্যে এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, তাঁরা কী বলতে বা করতে হবে তা জানেন। কী বললে বা করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে সেই বিষয়েও পরামর্শ দিতে পারেন।
কীভাবে পরিস্থিতি শান্তভাবে সামলাতে হয়, যা স্ত্রী এবং মা উভয়কেই খুশি রাখতে পারে, তা জেনে নিন। তবে মনে রাখবেন মানুষের দেওয়া পরামর্শ অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না। এটি সম্পর্কে একটু চিন্তা করুন এবং উভয়ের কথা ভেবেই একটি ভালো উপায়ে সমাধান করুন।
পি এস/এন আই