অনাগত সন্তানকে নিয়ে প্রতিটি মায়ের থাকে নানা আকাঙ্ক্ষা। সবাই চান সহজ ও সুস্থভাবে গর্ভাবস্থা কাটুক। স্বাভাবিক প্রসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে চান। গর্ভাবস্থায় ছোটোখাটো কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বেশি থাকে। এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে জানুন।
প্রসবপূর্ব ক্লাস
প্রসব সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকলে বিষয়টি সহজ হয়। প্রিনাটাল ক্লাস বা প্রসবপূর্ব ক্লাসে সন্তান প্রসবকালীন নানান সমস্যা ও জটিলতা সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়। এমন প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখতে পারেন। এতে সহজ ও কষ্টমুক্ত প্রসব সম্পর্কিত তথ্য পাবেন।
ব্যায়াম
অনেকে মনে করেন, গর্ভধারণ কালে ব্যায়াম করা উচিত নয়। এই ধারণা একদমই ভুল। হালকা কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা করলে এসময়ে স্ট্যামিনা বাড়ে। শরীরও সতেজ থাকে। নিয়মিত এসব ব্যায়াম করলে প্রসবকালীন ব্যথা ও অবসাদ থেকে মুক্তি মেলে। স্বাভাবিক প্রসবের পথও প্রশস্ত করে এটি।
সুষম খাদ্যাভ্যাস
কেবল মায়ের জন্য নয়, গর্ভস্থ ভ্রূণের সুস্বাস্থ্যের জন্যও সুষম খাদ্যাভ্যাসের প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় প্রচুর শাকসবজি, ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
পরিমিত ঘুম
একজন গর্ভবতী নারীর প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। এতে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে শিশুর বিকাশ হবে। এছাড়া ঠিকমতো ঘুমালে গর্ভবতী নারীর মস্তিষ্কও শান্ত থাকে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম
প্রসবের সময় প্রসূতিকে নির্দিষ্ট সময় অন্তত অন্তর শ্বাস ধরে রাখতে হয়। তাই গর্ভকালে বেশি বেশি শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। এক্ষেত্রে বুক ভরে শ্বাস নিন। কয়েক সেকেন্ড দম ধরে রাখুন। এরপর ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন।
পানি
নরমাল ডেলিভারি চাইলে গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস করুন। রোজ অন্ততপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। নাহয় গর্ভবতী নারীদের ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশানের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্ট্রেস থেকে দূরে
নরমাল ডেলিভারির জন্য শরীর সুস্থ ও ঝরঝরে রাখা প্রয়োজন। স্ট্রেস থেকে দূরে থাকুন। স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা করুন। মন ভালো থাকবে এমন কাজ করা ভালো। এতে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভালো থাকবেন।
এই বিষয়গুলো মেনে চললে গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকবে মা ও সন্তান। প্রসব প্রক্রিয়া হবে সহজ।
পি এস/এন আই