শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরের দেবী কালীর মাথার মুকুট চুরির ঘটনায় প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর মামলা হয়েছে। মন্দির পরিচালনা কমিটির পক্ষে জ্যোতি প্রকাশ চট্রোপাধ্যায় বাদী হয়ে শনিবার রাত দুইটায় শ্যামনগর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিবিকে।
এদিকে চুরির রহস্য উদঘাটনসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচজনকে আটক করেছে ডিবি। আটকরা হলেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দিলীপ ব্যানার্জী (৪৭), পুরোহিতের সহকারী অপূর্ব সাহা (৩৭), সঞ্জয় বিশ্বাস সাজু (৪০), পরিচ্ছন্নতাকর্মী রেখা রানী (৪২) ও পারুল বিশ্বাস (৪১)।
মামলার এজাহারে বাদী জ্যোতি প্রকাশ চট্রোপাধ্যায় উল্লেখ্য করেন, যশোরেশ্বরী মন্দির একটি তীর্থস্থান। ১৮০৯ সাল থেকে তাদের পূর্বপুরুষরা মন্দিরটি পরিচালনা করছেন। গত ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদি মন্দির পরিদর্শনকালে দেবীর মাথায় রুপার ওপর সোনার জলের রং করা মুকুটটি পরিয়ে দেন। প্রায় ৩০ ভরি ওজনের ওই মুকুটের মূল্য প্রায় লাখ টাকা।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পুরোহিত দিলীপ ব্যানার্জীর কাছে মন্দিরের চাবি থাকে। তবে পরিচ্ছন্নতার জন্য মাঝেমধ্যে রেখা রানীকে পুরোহিত চাবি হস্তান্তর করেন। এমন এক অবস্থায় গত ১০ অক্টোবর আগত ভক্তদের সেবা দেওয়ার সময় মন্দিরের চাবি খুলে কাজের সময় পরিচ্ছন্নতা কর্মী রেখা অসাবধানতাবশত বাইরে চলে যায়। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা দেবীর মাথা থেকে মুকুট খুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে মামলার পর বিষয়টি ডিবি তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তারা পাঁচজনকে আটক করেছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজের যুবককে শনাক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।