ভারতে চলছে করোনাভাইরাসের তান্ডব। প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন চার লক্ষাধিক মানুষ। দেশটিতে রোজ মৃত্যু হচ্ছে তিন হাজারের উপরে৷ বলা চলে গেল কয়েকদিনে করোনার আক্রমণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে ভারত৷
পশ্চিমবঙ্গেও করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আক্রান্ত হচ্ছেন অনেক তারকাও৷ প্রিয় সেসব সহকর্মীদের জন্য দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসানের৷
তিনি এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফেসবুকে৷ সেখানে লেখেন, ‘মনটাকে জাগিয়ে রাখা কী যে কঠিন মনে হচ্ছে আজকাল। এত ক্ষয়, এত মৃত্যু, এত হাহাকার! চারদিকে যেন শুধু একটাই চিহ্ন, বিয়োগের। আমাদের কত না আপনজন উষ্ণ হাতের মুঠো ছেড়ে বিদায় নিচ্ছেন। যাঁরা আমাদের আনন্দের সময়ের বন্ধু, বেদনার সময়ের আশ্রয়, বিপদের সময়ের ভরসা, তাঁরা চলে যাচ্ছেন একে একে।
চলে গেলেন সৌমিত্র কাকুর মতো মেঘ– সমান উঁচু একজন মানুষ, চলে গেলেন আরও কত কত কবি, লেখক, শিল্পী। ঢাকায়, কলকাতায় একই অন্ধকার ছবি। সমস্ত ভারতেই করোনার ভয়ংকর থাবায় মানুষ বড় নিঃসহায়।
মন খারাপ করা নিউজ ফিডের সোশ্যাল মিডিয়া যেন মৃত্যুর প্রান্তর। খবরের কাগজ হাতে নেওয়ার আগেই বুক ধক করে ওঠে, আজ জানি আবার কে!
কলকাতায় আমার বন্ধু সহকর্মীদের কথা ভাবি। কতদিন দেখা হয়নি। অসম্ভব কষ্টের একটা সময় পার করছে তারা। একটা করে মন্দ খবর শুনি, আর আমার মনটা নিভে আসে একটু একটু করে।
যাঁদের সঙ্গে এতদিন ধরে কাজ করছি কলকাতায়, পরিচালক–শিল্পী–কুশলী–সহযোগী, শুনি তাঁদের কষ্ট, অসুস্থতা আর বিদায়ের খবর। আমার আলো কমে যায়।
আমার কেবলই মঙ্গল কামনা। আলো ফিরে আসুক সবার জীবনে। হতাশার এই অন্ধকারে মন যেন পথ না হারায়। তোমার মুক্তি আর আমার মুক্তি আলোয় আলোয়, এই আঁধারে। বন্ধুরা, মন শক্ত করে বাঁধো। সময় আসছে। আবার আমরা একসঙ্গে, হাতে হাত ধরে, প্রান্তরের শেষ রেখার দিকে ছুটব। ওই রেখাটা পার হতে এখনো যে বাকি।’