করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৪ হাজার ৮৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৬৬ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১০ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ১৫৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৮১ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭২৩ টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৩টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫৩৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৭ হাজার ৪২৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ হাজার ২২৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯১ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ শতাংশ ৪০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭২ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৫৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৭৬ জন ও ৮৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে ১২ জন, বরিশাল বিভাগে ১০ জন, সিলেট বিভাগে ২৩ জন, রংপুর বিভাগে আটজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজন। সরকারি হাসপাতালে ১২৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৬ জন এবং বাড়িতে চারজন মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুইজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৩৯ জন,৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৪ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন দুই হাজার ১০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ১৫২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৫০ হাজার ১৭৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৭৭ হাজার ৬২৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭২ হাজার ৫৪৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।