কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুধু তাই নয়, বাড়তি সতর্কতা হিসেবে অফিসে খাবার না খাওয়ার জন্যও কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার লকডাউন। প্রথম দিনেই বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তবে কাজ করছে অর্ধেক জনবল।
কর্মকর্তারা জানান, সরকারঘোষিত নির্দেশনার পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতাও মানা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মোট কর্মী দুই ভাগে ভাগ হয়ে একদিন পরপর অফিসে এসে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া অফিসের গাড়িতে যাওয়া-আসা এবং দুপুরের খাবার অফিসে গ্রহণ না করার জন্যও উৎসাহিত করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক মাস্ক পরার বিষয়টিও নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে।
লকডাউনের প্রথম দিনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা, শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম বিকেল ৩টার পর অফিস করেছেন। নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম সকালে এসেছিলেন। আর জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার অফিস করেননি। অফিসে আসেননি নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারও।
ইসি বিভিন্ন শাখার কর্মীরা ভাগ ভাগ হয়ে কাজ করেছেন। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদেরও অনেকে অফিস করেননি। তবে কোনো কোনো শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হোম অফিসও করেছেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের স্মার্টকার্ড প্রকল্পের অপারেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান বলেন, প্রয়োজন হলে অফিসে আসার নির্দেশনা রয়েছে। অন্যথায় হোম অফিস করছি আমরা।
করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সব নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে ইসি। ইসি সচিব জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর থাকবে।