পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ ও সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদে জড়ো হয়েছেন তার হাজার হাজার কর্মী সমর্থক। এরমধ্যে অনেকে বিক্ষোভের মূলকেন্দ্র ডি-চকে পৌঁছে গেছেন।
ইসলামাবাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় মোতায়েন আধাসামরিক বাহিনীকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামানও। ইমরান সমর্থকদের ঠেকাতে কার্যত ‘কন্টেইনার সিটি’তে পরিণত হয়েছে ইসলামাবাদ।রাজধানী জুড়ে প্রায় ৭০০টি শিপিং কন্টেনার ব্যবহার করে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সহিংসতার আশঙ্কায় স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে বদ্ধপরিকর পাকিস্তানের সরকার। বিপুল পুলিশবাহিনী আগেই মোতায়েন করা হয়েছিল। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় চলাচলের উপর বিধি নিষেধ জারি করা হয়, কিছু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সোমবার ইসলামাবাদের দিকে বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে আসছে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে দেয়। বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে শহরের বিভিন্ন দিকে সরিয়ে নেওয়া হয়।সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, ইমরানের সমর্থকরা ইসলামাবাদে পৌঁছানোর পর আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে বিপুল কাঁদানে গ্যাস ছোড়েন। ওই সময় তারা আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
ইমরানের সমর্থকরা যেন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অবকাঠামোতে ঢুকে পড়তে না পারেন সেজন্য সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।ইসলামাবাদের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শেহবাজ শরীফের সরকার সংবিধানের ২৪৫ ধারা অনুযায়ী সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে।
দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির নেতৃত্বাধীন বিশাল বহর ইসলামাবাদের জিরো পয়েন্টে এসে পৌঁছেছে। তারা সেখানে পৌঁছানোর পর তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। অপরদিকে ইমরানের সমর্থকদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে।