সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। এ চলচ্চিত্রে আলিয়া ভাটকে দেখা গিয়েছে এক যৌনকর্মী হিসেবে। যিনি পরবর্তী সময়ে মুম্বাইয়ের পতিতাপল্লী কামাঠিপুরার হর্তাকর্তা বিধাতায় পরিণত হন।
মুম্বাইয়ের নিষিদ্ধপল্লী কামাঠিপুরার কর্ত্রী হিসাবে এই ছবিতে আলিয়ার দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স নজর কাড়ছে সবার। কিন্তু ছবি মুক্তির আগে থেকেই ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’র পেছনে আদাজল খেয়ে লেগেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। এমনকি আলিয়াকেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি। ‘রম-কম বিম্বো’, ‘পাপা কি পরী’র মতো শব্দবাণে আলিয়াকে আক্রমণ করেন কঙ্গনা।
অবশেষে কঙ্গনার আক্রমণের মোক্ষম জবাব দিলেন আলিয়া। হিন্দুস্তান টাইমসের ‘অউর বাতাও’ অনুষ্ঠানে তিনি জানান, গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়িতে তার চরিত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে সেটার মান্যতা অন্য কারুর থেকে পাওয়ার দরকার নেই। আলিয়ার কথায়, আমার মনে কোনো নেতিবাচক কিছু নেই, কারোর বিরুদ্ধে কোনো ক্ষোভ নেই।
আলিয়া আরও বলেন, আমি এমন একজন মানুষ যে জীবনে অনেক সময় ব্যয় করে ভিন্ন ভিন্ন রকমের এনার্জির সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করতে। আমার দিন যতই খারাপ যাক, যখন আমি কারোর সঙ্গে দেখা করি, চেষ্টা করি হাসিখুশি থাকতে, পজিটিভ থাকতে। কারণ আমার মনে হয় একটাই জীবন, সেটা আলোয় ভরিয়ে তোলা উচিত। যদি নেতিবাচকতা থাকে, কেউ ট্রোল করে অথবা আমাকে নিয়ে খারাপ কথা বলে- সেটা কিন্তু আমার কাছে পৌঁছায় না।
সঞ্জয় লীলা বনশালির এ চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করেছেন অজয় দেবগণ, শান্তনু মহেশ্বরী, বিজয় রাজের মতো অভিনেতারা।
গত সপ্তাহে নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি লম্বা-চওড়া পোস্ট করেন কঙ্গনা। সেখানে লিখেছিলেন, ‘একজন মুভি মাফিয়া বাবার ব্রিটিশ পাসপোর্টের অধিকারী পরীর কারণে আগামী সপ্তাহে ২০০ কোটি টাকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। এদের চাপে পড়ে বহু পরিচালক ও স্টারদের ভুল কাস্ট সিলেক্ট করতে হয়েছে। এবারও ঠিক তেমনটাই হলো। শুক্রবার ছবি মুক্তিতেই এমনই ছবি উঠে আসবে, যেখানে একজন ক্রিয়েটিভ পরিচালক ও একজন বড় অভিনেতাকে কীভাবে এই পরিস্থিতির শিকার হতে হলো, দেখা যাবে।’
মূলত আলিয়া ভাটকে নিজের মেয়ের মতোই স্নেহ করেন করণ জোহর। তার হাত ধরেই আলিয়ার বলিউড সফর শুরু। নাম না করেই ‘মুভি মাফিয়া’ হিসেবে করণকে ফের তুলোধনা করেন কঙ্গনা। পাশাপাশি ‘ব্রিটিশ পাসপোর্টের অধিকারী পরী’ বলে সম্বোধন করেন আলিয়াকে। কঙ্গনার এই আক্রমণের জবাব কলকাতায় এসে শ্রীকৃষ্ণের গীতার বাণীর মাধ্যমে দিয়েছিলেন আলিয়া। বলেছিলেন, ‘গীতায় লেখা রয়েছে যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলে গিয়েছেন স্থবিরতার মধ্যে আসলে গতি রয়েছে’।