কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা নারীদের হেনস্তা ও মারধরসহ হয়রানির ঘটনায় জড়িত মো. ফারুকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। শুক্রবার রাতে শহরের ভোলা বাবুর পেট্রলপাম্পসংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে নারীদের হেনস্তার সঙ্গে জড়িত বাকিদের শনাক্তকরণের কাজ চালাচ্ছে পুলিশ।
বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পিআর এর দায়িত্বে থাকা এআইজি ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফারুকুল ইসলামের নামে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
ফারুকুল নামে ওই যুবকের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকায়। আর ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সি-গাল থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে যে যুবককে লাঠি হাতে দেখা গেছে, তিনি আটক হওয়া ফারুকুল ইসলাম। তাঁর ফেসবুক ওয়ালেও সেদিন হেনস্তার শিকার হওয়া তরুণীর ছবি ছিল। গত বৃহস্পতিবার তিনি নিজেই ওই ছবি পোস্ট করেছিলেন।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে একজন নারী একদল লোকের ভিড়ের মধ্যে কান ধরে উঠবোস করছেন। ভিডিওটিতে শুধু একজন ব্যক্তিকে দেখা যায় হাতে কাঠের লাঠি দিয়ে উঠবোস করা নারীকে একাধিকবার আঘাত করছেন।
আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতে বিচ চেয়ারে বসা এক নারীকে একদল যুবক হঠাৎ করে ঘিরে ধরে গালাগাল করছে এবং তাঁকে সেখান থেকে উঠে যেতে নির্দেশ দিচ্ছে। এক পর্যায়ে তাঁকে পেটানোর ভয় দেখিয়ে চেয়ার থেকে উঠে যেতে বাধ্য করা হয়। সেখানেও কাঠের লাঠি হাতে ওই যুবককে দেখা যায়।
তৃতীয় ভিডিওতে দেখা যায়, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ‘কড়াই’ রেস্তোরাঁর সামনে একটি ঘরে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের কাছে এক নারী এসে ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় তাঁর মোবাইল ফোনটি চাচ্ছেন। তিনি উপস্থিত জনতার কাছে বারবার ক্ষমা চাচ্ছেন এবং বলছেন, তাঁর মোবাইল ফোনটা দিলে তিনি এখনই টিকিট কেটে চলে যাবেন। এই ভিডিওতেও সেই লাঠি হাতে যুবকটিকে দেখা যায় ওই নারীর পাশে।