বাইরে খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে হয়ত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে ঘরের খাবার যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে ওজন কমানোর লক্ষ্য পূরণ হয়ত সম্ভব হয় না।
তাই স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে রান্নাঘর সাজানোর চেষ্টা করতে হবে।
মজাদার নাস্তা লুকিয়ে রাখা
হাতের কাছেই যদি মজাদার মিষ্টি নোনতা নাস্তা থাকে তবে সেগুলো এমন জায়গায় রাখুন যাতে সহজে চোখে না পড়ে। তাহলে মুখরোচক খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
কর্নেলি ইউনিভার্সিটি’র করা গবেষণার বরাত দিয়ে হার্ভার্ড হেল্থ পাবলিকেশন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ক্যান্ডি, সিরিয়াল ও কোমল পানীয় ধরনের খাবারগুলো যারা রান্নাঘরে বা টেবিলে চোখের সামনে রাখে তাদের ওজন বেড়েছে অন্যদের তুলনায় বেড়েছে নয় থেকে ১১.৭ কেজি।
আর যারা হাতের কাছে ফল রেখেছে তাদের অন্যদের তুলনা ওজন কমেছে ৫.৮ কেজি।
পরিবর্তন ঘটান ফ্রিজের ভেতর
চর্বিহীন মাংস, ফল, সবজি, ডিম, কম ননিযুক্ত দুধ, পনির, টক দই- এই ধরনের খাবারগুলো ফ্রিজে চোখের সামনের রাখলে অন্য কিছু খাওয়ার পরিমাণ কমে।
ফ্রিজ করুন ওজনবান্ধব
হার্ভার্ড হেল্থ পাবলিকেশন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরামর্শ অনুযায়ী- এমন কিছু হিমায়িত খাবার রাখতে হবে ফ্রিজে যা সহজেই রান্না করা যায়। যেমন- হিমায়িত বিভিন্ন সবজি। যা এয়ার ফ্রায়ার বা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে সহজেই তৈরি করে খাওয়া যায়।
মান সম্মত খাবার গরে রাখা
সাদা চাল বা ময়দা বাদ দিতে হবে। রাখতে হবে পূর্ণ শষ্য। যেমন- লাল চাল বা আটা। সাদা নুডুলসও বাদ দিতে হবে।
টিনজাত যে কোনো মটরধর্মী খাবার, ছোলা ইত্যাদি রাখা উপকারী।
ডাল হতে পারে ভালো পছন্দ। এছাড়া ওটস চর্বি বা মাখন ছাড়া পপকর্ন’য়ের প্যাকেট, টিনজাত টুনা বা স্যামন মাছ রাখলে গড়বে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।
ছোট থালা ব্যবহার
সাধারণভাবেই বলা হয়, ৫০ ভাগ বড় থালাতে খেলে ২০ শতাংশ খাওয়া বেশি হয়। তাই বাসায় ১২ ইঞ্চির থালাতে খাবার খাওয়া হলে সেটা ১০ ইঞ্চি করতে হবে। পাশাপাশি এখন যে ধরনের থালা বাটিতে খাওয়া হচ্ছে সেটা যদি বড় মনে হয়, তবে সেগুলো ছোট আকার ব্যবহার করতে হবে।
সঠিক যন্ত্র রাখা
রান্নাঘর নতুন করে না সাজালেও কিছু দরকারী জিনিস রাখা দরকার।
যেমন- ‘কিচেন স্কেল’। ওজন করে খাবার খাওয়া প্রয়োজন। ইন্টারনেট ঘাটলেই কোনো খাবারে ওজন অনুযায়ী কতটুকু ক্যালরি থাকে সেটা জানা সম্ভব। সেই অনুযায়ী খাবার ওজন করে খেতে ‘কিচেন স্কেল’ উপকারী ভূমিকা রাখে।
এছাড়া খাবারের মাপ ঠিক রাখতে বিভিন্ন ধরনের ‘মেজারিং’ কাপ, চামচ মেপে খাওয়া ওজন কমাতে উপকারী।