অতিরিক্ত ওজন কারো কাম্য নয়। অনেকেই আছেন, যাঁরা ওজন কমানোর জন্য অনেক টাকা খরচ করেও নিজেদের ফিট রাখতে পারছেন না। বেশির ভাগ মানুষই ওজন কমাতে শরীর থেকে ঘাম ঝরানোর পন্থা অবলম্বন করেন। তবে শুধু ঘাম ঝরালেই তো হবে না।
সঙ্গে ডায়েট মেনে খাবারও খেতে হবে। এসবের পাশাপাশি অনেকে ডিটক্স পানীয়, নানা ধরনের বীজ, ভেষজ চা-ও খেয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের টোটকা সরাসরি মেদ গলিয়ে দেয় না। উল্টো সেই কাজে সহায়তা করে।
তেমনই একটি টোটকা হলো কাঁচা রসুন এবং মধু।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রসুনের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। আবার শিশুদের সর্দি-কাশি নিরাময়ে মধু উপযোগী। মধুর মধ্যেও একইভাবে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে।
দুটি উপাদানই নিজ গুণে সমৃদ্ধ। তবে এ দুই উপাদান যদি একসঙ্গে বিশেষ পদ্ধতিতে মজানো হয়, তার উপকারিতা বৃদ্ধি পায় কয়েক গুণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে মধুতে মজানো রসুন। কিন্তু ঠিক কিভাবে রসুনের সঙ্গে মধু মেশালে তা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। সেই পদ্ধতি দেওয়া রইল এখানে।
উপকরণ :এক কোয়া রসুন : ২০টি
মধু : ২৫০ গ্রাম
বায়ুরোধী কাচের শিশি
পদ্ধতি :
১) প্রথমে রসুনের খোসা ছাড়িয়ে, তা পরিষ্কার সুতির কাপড়ে ভালো করে মুছে পরিষ্কার করে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন কোনোভাবেই রসুনের গায়ে পানি না থাকে।
২) এবার বায়ুরোধী কাচের শিশিতে রসুনগুলো দিয়ে দিন। কাচের শিশির মধ্যে যেন পানি না থাকে, তা-ও দেখে নিতে হবে।
৩) শিশির মধ্যে মধু ঢেলে দিন। রসুন যেন মধুর মধ্যে পুরোপুরি ডুবে থাকে, সেই দিকে খেয়াল রাখবেন।
৪) এক মাস এভাবে রেখে দিন। তবে তিন দিন পর পর পরিষ্কার একটি চামচ দিয়ে রসুন নেড়ে দিতে হবে।
৫) খেয়াল রাখতে হবে, কোনোভাবেই রান্নাঘরের তাপ, সূর্যের আলো বা পানির সংস্পর্শে যেন না আসে শিশিটি।