দু’দফা ১৩৫ টাকা কমানোর পর এবার চলতি মাসে ৬২ টাকা বাড়িয়ে সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ঠিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। এখন থেকে ১২ কেজির এক সিলিন্ডার এলপি গ্যাসের দাম হচ্ছে ১ হাজার ২৪০ টাকা। নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে আজ (৪ জানুয়ারি, শুক্রবার) থেকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দাম ঘোষণার পর কমিশন জানায়, দেশে এলপিজির বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা আনতে কাজ করছে সরকার। তবে, শিল্প খাতে এলপিজি ব্যবহারে অপচয় কমাতে দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা।
যদিও দেশের বাজারে এলপি গ্যাসের দাম কত হবে- গত বছরের এপ্রিল থেকে প্রতি মাসেই তা নির্ধারণ করে দিচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানে চলতি মাসের জন্য ১২ কেজির এক সিলিন্ডার গ্যাসের দাম বেঁধে দেওয়া হলো ১ হাজার ২৪০ টাকা, যা গত মাসের চেয়ে ৬২ টাকা বেশি। অবশ্য, এর আগে গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দুই দফায় ১৩৫ টাকা কমানো হয়েছিল এই গ্যাসের দাম। কমিশন বলছে, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতেই দেশের বাজারে বাড়ানো হলো সিলিন্ডার গ্যাসের দাম।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের বাজারেও ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজি এলপিজির মূসকসহ মূল্য ১ হাজার ২৪০ টাকা সমন্বয় করা হয়েছে।
সঠিক পদ্ধতিতেই কমিশন গ্যাসের দাম নির্ধারণ করেছে বলে মত দিচ্ছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে বাংলাদেশে এলপিজির যে দাম, তা ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে কম বলেও জানান তিনি।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বশিরুল হক বলেন, বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম প্রতি টনে ৪০ ডলার বেড়ে গেছে। সে হিসেবে বাংলাদেশে যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে কম।
এ সময় শিল্পখাতে এলপিজির ব্যবহার বাড়ছে উল্লেখ করে এই গ্যাস সরবরাহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, শতভাগ আমদানি করা এই জ্বালানির অপচয় কমাতে শিল্পোদ্যোক্তাদের আরো দক্ষ হতে হবে।
এ বিষয়ে জেএমআই এলপিজির মহাব্যবস্থাপক মো. লিয়াকত আলী বলেন, বেশির ভাগ শিল্প কারখানায় গিয়ে দেখা যাচ্ছে প্রথম ও দ্বিতীয় স্টেজের রেগুলেটর কাজ করে না। তারা কোন ধরনের বার্নার ব্যবহার করবে সেটা জানে না। আসলে আমাদের এই ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
তবে, এবারও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা গ্যাসের দাম।
পিএসএন/এমআই