দক্ষিণ আমেরিকার দুই প্রতিবেশী দেশ কলম্বিয়া এবং বলিভিয়ার পথ অনুসরণ করে এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সবরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্য আমেরিকা দেশ নিকারাগুয়া। শুক্রবার সরকারি এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েল শুধু ফিলিস্তিনেই তার সামরিক অভিযান সীমানবদ্ধ রাখেনি; তাদের সেনাবাহিনী লেবাননে অভিযান শুরু করেছে এবং ইতোমধ্যেই সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ইরানের সামনে বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে ইসরায়েল।”“নিকারাগুয়ার সরকার ইসরায়েলের এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং দেশটির সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ সামরিক অভিযানের তীব্র সমালোচনা করে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বলিভিয়া। বলিভিয়ার পর চলতি ২০২৪ সালের ২ মে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ ব্রাজিল ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন না করলেও, দেশটি থেকে নিজেদের কূটনীতিক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফলে কার্যত ব্রাজিলের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা অবশ্য ইরানের মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে দেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনের নামে শত শত মানুষকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, সেই আন্দোলনে অন্তত ৩০০ জন নিহত হন।ওই ঘটনার পর থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক রকম বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন ওর্তেগা।