স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত লেবাননের সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ১৫০টি স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি সেনারা। রোববার বিকেলে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহনী (আইডিএফ)।
ইসরায়েলের স্থল বাহিনীর ৩৬তম ডিভিশনের ১৮৮ নম্বর ব্রিগেডের সদস্যরা ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে উল্লেখ করে আইডিএফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে যারা থাকেন, তাদের প্রায় সবার বাড়িতে অস্ত্র বা বিস্ফোরক রেখেছে হিজবুল্লাহ।
১৮৮তম ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল ওর ভোলোজিনিস্কি এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে আমরা হিজবুল্লাহর মাটির ওপরের এবং ভূ-গর্ভস্থ স্থাপনাগুলো ধ্বংসের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। যতদিন এসব স্থাপনার সবগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ কাজ চলবে। সব স্থাপনা ধ্বংসের পর গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের ফিরে আসার আহ্বান জানানো হবে।”
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পারে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল। এই অঞ্চলটি হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটি এবং গোষ্ঠীটির অধিকাংশ সামরিক স্থাপনার অবস্থান এখানে। গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরায়েলও। গত এক বছরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে লেবাননে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৫ শতাধিক।
গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। প্রায় ১০ দিনের সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা ও সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষ কমান্ডার। এতে গোষ্ঠীটির চেইন অব কমান্ডের সর্বোচ্চ স্তর প্রায় ভেঙে পড়েছে।
বিমান অভিযান পর্বের পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ লেবাননে অভিযান শুরু করেছে আইডিএফের স্থল বাহিনী। এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আইডিএফ বলেছিল, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে সীমিত ও স্থানীয় পর্যায়ে অভিযান চালানো হবে। তবে কতদিন এ অভিযান চলবে, সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য বা ইঙ্গিত এখনও দেয়নি আইডিএফ।
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল