পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী আগামীকাল সোমবার। দিনটি উপলক্ষ্যে দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক বাণীতে তিনি বলেন, নবীকূলের শিরোমণি, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত একটি দিন।
‘মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে রহমাতুল্লিল আলামীন তথা সমগ্রৰ বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। দুনিয়ায় তিনি এসেছিলেন সিরাজাম মুনিরা তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকার দূর করে তিনি (মহানবী) মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লাহর প্রতি অসীম ও অতুলনীয় আনুগত্য ও ভালোবাসা, অনুপম চারিত্রিক গুণাবলি, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত। সত্য ও ন্যায়ের প্রশ্নে তিনি ছিলেন প্রস্তরকঠিন কিন্তু ক্ষমা ও দয়ায় ছিলেন পানির মতো সরল। তার প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। এ জন্য পবিত্র কুরআনে তার জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ।
‘মহান আল্লাহ রাববুল আলামিন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ করে জগতে তাওহিদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অসীম ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সারাবিশ্বে পবিত্র কুরআনের মর্মার্থ
ছড়িয়ে দেন। তিনি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা এবং মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তার বিদায় হজের ভাষণ সমগ্র মানবজাতির জন্য আলোর দিশারী হয়ে থাকবে।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদিনা সনদ’ ছিল মহানবী (সা.) এর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার প্রকৃষ্ট দলিল। এ দলিলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সর্বজনীন ঘোষণা রয়েছে। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে তার শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। তার জীবনাদর্শ আমাদের সবার জীবনকে আলোকিত করুক, আমাদের চলার পথের পাথেয় হোক, মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে মহানবীর সুমহান আদর্শ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দিন।