আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও রাজধানীর সায়েদাবাদ টিকিট কাউন্টারগুলোতে কোনো চাপ নেই। সায়েদাবাদ কাউন্টারগুলোতে খুলনা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, সিলেট, চট্টগ্রামের পরিবহনের টিকিট বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে নোয়াখালী ও কুমিল্লা রুটের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। তবে সিলেট, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং খুলনা রুটে চলাচল করা পরিবহনগুলো অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে।
নোয়াখালী ও কুমিল্লা রুটে চলাচল করা পরিবহনের কর্মীরা জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে যারা নোয়াখালী ও কুমিল্লায় যান তারা দিনের টিকিট দিনেই সংগ্রহ করেন। ঢাকা থেকে প্রতিদিন অসংখ্য বাস নোয়াখালী, কুমিল্লার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বাস ছাড়ার সময় কাউন্টারে এলেই টিকিট পাওয়া যায়। তাই যাত্রীদের কাছে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয় না।
অন্যদিকে খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার রুটে চলাচল করা পরিবহনের কর্মীরা জানিয়েছেন, যাত্রীরা চাইলে ঈদের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। অগ্রিম টিকিট না নিলেও সমস্যা নেই। যাত্রীরা চাইলে দিনের টিকিট দিনেই সংগ্রহ করতে পারেন। তবে অগ্রিম টিকিট কাটলে ভালো, সিট পাওয়া যায়। এজন্য অনেকেই অগ্রিম টিকিট কাটেন।
ঢাকা থেকে নোয়াখালী, সোনাপুর রুটে চলাচল করা একুশে এক্সপ্রেসের কাউন্টার ম্যানেজার মো. সুমন বলেন, আমাদের রুটে অসংখ্য কোম্পানির পরিবহন চলাচল করে। পরিবহনের কোনো অভাব নেই। আধা ঘণ্টা পর পর গাড়ি ছাড়ে। যাত্রীরা যখন আসবেন তখনই টিকিট পাবেন। আমরা অগ্রিম টিকিট বিক্রি করি না। যাত্রীরাও অগ্রিম টিকিট নেন না।
তিনি বলেন, আমাদের ঈদ আর স্বাভাবিক সময় সবই এক। ঈদের আগের দিনও যখন খুশি তখন যাত্রীরা কাউন্টারে এসে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। টিকিট পেতে কোনো সমস্যা হবে না।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে চলাচল করা শ্যামলী এন আর পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, যাত্রীরা চাইলে আমাদের পরিবহনের অগ্রিম টিকিট কিনতে পারেন। এক মাস আগে থেকেই আমাদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এখন আসন্ন ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। তবে অগ্রিম টিকিটের তেমন চাপ নেই।
তিনি বলেন, অগ্রিম টিকিট না কাটলেও সমস্যা নেই। দিনের দিন এসেও আমাদের কাউন্টার থেকে যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। তবে অগ্রিম টিকিট নিয়ে রাখলে ভালো, সিট পাওয়া যায়। কাউন্টারে না এসে অনলাইনেও অগ্রিম টিকিট কাটার ব্যবস্থা আছে।
সিলেট রুটে চলাচল করা লন্ডন এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রেতা মো. মারুফ বলেন, আমরা ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছি। এখন ৭, ৮ ও ৯ জুলাইসহ যে কোনো দিনের অগ্রিম টিকিট কিনতে পারবেন যাত্রীরা। আবার যাত্রীরা চাইলে দিনের দিন এসেও টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। আমাদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তেমন চাপ নেই। কারণ আধা ঘণ্টা পর পর আমাদের গাড়ি আছে।
খুলনা রুটে চলাচল করা ফাল্গুনী পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা মো. আমিনুল বলেন, এবার আমাদের পরিবহন পদ্মা সেতু দিয়ে যাবে। আমাদের এসি এবং নন-এসি দুই ধরনের পরিবহন আছে। পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করার জন্য নন-এসি পরিবহনের ভাড়া বাড়বে না। তবে এসি পরিবহনের ভাড়া ৫০ টাকা বাড়ানো হচ্ছে।
ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমাদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তেমন চাপ নেই। তবে যাত্রীরা চাইলে অগ্রিম টিকিট কিনতে পারেন। আর অগ্রিম টিকিট না কিনলেও সমস্যা নেই। আমাদের প্রচুর গাড়ি চলে এই রুটে। যাত্রীরা দিনের দিন এসেও টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
/এসআই