ইন্টারনেট ব্যবহারে স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাগরিকরা ‘আংশিক মুক্ত’। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউসের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৪’ শিরোনামে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এতে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় বাংলাদেশকে ১০০-এর মধ্যে ৪০ পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে শুধু পিছিয়ে আছে পাকিস্তান (২৭)। সবচেয়ে এগিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা (৫৩) ও ভারত (৫০)। নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানকে এ সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।ইন্টারনেট সংযোগ পেতে বাধা, কনটেন্টের সীমাবদ্ধতা ও ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন– এই তিন সূচকের মানের সমন্বয়ে ১০০ পয়েন্টের স্কোর সাজিয়েছে ফ্রিডম হাউস। দেশগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। পয়েন্ট ৭০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে সেই দেশ ‘মুক্ত’। ৪০ থেকে ৬৯-র মধ্যে থাকলে ‘আংশিক মুক্ত’। আর শূন্য থেকে ৩৯-র মধ্যে থাকলে সেই দেশকে ‘মুক্ত নয়’ বিভাগে রাখা হয়েছে। ৪০ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ‘আংশিক মুক্ত’ বিভাগে স্থান পেয়েছে। সমান পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অবস্থান ভাগাভাগি করেছে ইরাক।
কমছে ইন্টারনেট স্বাধীনতা গত কয়েক বছরের পয়েন্ট পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের স্বাধীনতা দিন দিন কমছে। ফ্রিডম হাউসের গত বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ৪১। ২০২২ সালে তা ছিল ৪৩। ১০০ তে ৯৪ পয়েন্ট নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছে আইসল্যান্ড। র্যাঙ্কিংয়ে সবার নিচে রয়েছে চীন (৯) ও মিয়ানমার (৯)।