সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য আরও সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ দফায় অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ডিম আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি বাজারে ডিমের দাম কয়েক দফায় বেড়েছে। একপর্যায়ে ঢাকার বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৮০–১৯০ টাকায়। যদিও আজ বুধবার বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। আজ ঢাকার বড় বাজারগুলোয় প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকা ও পাড়া-মহল্লায় ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সম্প্রতি ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয়। প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) বেঁধে দেওয়া হয়।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডিমের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। এ কারণেই দাম বেড়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে।
এদিকে, সরবরাহ বাড়ানো ও দর নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় ডিমের প্রধান দুই পাইকারি বাজার তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। কাপ্তান বাজারে আজ বৃহস্পতিবার থেকে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ডিম সরবরাহ শুরু করবে। এ কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)। সংগঠনটি বলছে, প্রাথমিকভাবে ঢাকায় এ কার্যক্রম শুরু হলেও সারাদেশেই এর প্রভাব পড়বে।
আড়তদারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে খামারির কাছ থেকে তারা প্রতিটি ডিম ১২ টাকা করে কিনেছেন। সেগুলো খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে ১২ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৩০ পয়সা দরে তারা বিক্রি করেছেন।
গতকাল বুধবার কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকার আশপাশে। অর্থাৎ, প্রতিটির দর পড়ছে ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা। গত মঙ্গলবার প্রতি ডজন বিক্রি হয়েছিল ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা দরে। সেই হিসাবে গতকাল ডজনে দর কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লায় এখনও বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গতকাল ডিমের হালি (চারটি) বিক্রি হয়েছে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা। সেই হিসাবে ডজনের দর দাঁড়ায় ১৬২ থেকে ১৭৪ টাকা।
অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ডিমের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে। নির্ধারিত দর অনুযায়ী, প্রতি পিসের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) হওয়ার কথা। তবে এক দিনও এ দরে ডিম বিক্রি হয়নি।