সম্প্রতি পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী করাচি থেকে একটি পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে। ১৯৭১ সালের পর এটিই প্রথম কোনো পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজের বাংলাদেশে নোঙর করার ঘটনা।
উভয় দেশের মধ্যে এই সরাসরি সমুদ্র সংযোগকে ঐতিহাসিক বলেও আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় সমুদ্রপথে ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সরাসরি এই সংযোগে ভারতের ওপর কী প্রভাব পড়বে সেই প্রশ্নও সামনে আসছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, একটি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ গত সপ্তাহে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে, যা পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক যোগাযোগ। করাচি থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছানো জাহাজটি সফলভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে কন্টেইনারগুলো আনলোড করেছে। মূলত অতীতের হিমশীতল সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে উভয় দেশই নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক পুনর্গঠন করতে চায়।
এদিকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ ভারতের পশ্চিম ও পূর্ব প্রতিবেশীদের মধ্যে ঐতিহ্যগতভাবে জটিল সম্পর্কের ঐতিহাসিক পরিবর্তনকেই তুলে ধরছে।
বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের নৈকট্যের কারণে নয়াদিল্লির নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপরও এর প্রভাব রয়েছে।
বাংলাদেশে পাকিস্তানি জাহাজের নোঙর
পাকিস্তানের করাচি থেকে ছেড়ে আসা ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামের ওই জাহাজটি গত ১৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে এসে ভিড়েছিল। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পণ্য খালাস হয়ে গেলে পরদিনই জাহাজটি বন্দর ত্যাগ করে। ‘দুবাই টু চট্টগ্রাম’ রুট ধরে আসা জাহাজটির পরবর্তী গন্তব্য ইন্দোনেশিয়া। নতুন এই সার্ভিসটি চালু করেছে দুবাইভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজটি পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পণ্য নিয়ে এসেছিল, যার মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান পোশাক শিল্পের কাঁচামাল এবং মৌলিক খাদ্য সামগ্রী রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে ৯১ হাজার ৭১১ টিইইউস
পাকিস্তানি পণ্যগুলো এর আগে বাংলাদেশে পরিবহনের আগে সাধারণত শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া বা সিঙ্গাপুরে ফিডার ভেসেলে স্থানান্তর করা হতো। তবে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানি পণ্যের আমদানি বিধিনিষেধ শিথিল করে।
এদিকে সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগের উদ্বোধনকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পাকিস্তানের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ সরাসরি এই শিপিং রুটটিকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য “বড় পদক্ষেপ” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এই রুটটি “উভয় দিকের ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগের উন্মোচন করবে” বলেও মারুফ জানিয়েছেন।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বহু বছর দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য হতো না। পরবর্তীতে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপিত হলেও পাকিস্তান থেকে সাধারণত সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রামে আসতো না। সেদেশের পণ্যবাহী জাহাজ প্রথমে শ্রীলঙ্কায় কন্টেইনার খালাস করতো। এরপর জাহাজ বদল করে সেসব কন্টেইনার বাংলাদেশে আসতো।
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দুই দেশের মাঝে শীতল সম্পর্ক ছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত হতে থাকে। তখন নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা অধিকাংশ পণ্য “লাল তালিকাযুক্ত” করে এনবিআর।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের অনুরোধে গত ২৯ সেপ্টেম্বর লাল তালিকা থেকে মুক্ত হয়েছে দেশটির সব ধরনের পণ্য। তবে শুধু এক্ষেত্রেই না, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক উন্নয়নে আরও অনেক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে অধ্যাপক ইউনুস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের মধ্যে বৈঠকের ঘোষণায়ও উল্লেখ করা হয় যে— দুই দেশই বিভিন্ন স্তরে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করেছে। আর এসবের মাঝে নতুন করে এই জাহাজ ভেড়ানোর খবর দুই দেশের সম্পর্কের উষ্ণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
১৯৭১ সালের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক
এদিকে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করলেও শেখ হাসিনা বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশকে ভারতের কাছাকাছি নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নয়াদিল্লির সহায়তার কথা উল্লেখ করে ভারতও বাংলাদেশিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধন রাখার দাবি করে থাকে।
গত আগস্টে ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবার ভারতের নেহেরু-গান্ধী পরিবারের সাথেও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক বজায় রাখতেন। এমনকি নয়াদিল্লির সাথে তার সম্পর্ক তাকে গত ৫ আগস্টে ভারতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল।
১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনাকে নয়াদিল্লিতে আশ্রয়ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর নয়াদিল্লির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও ভারতে পলায়ন
হাসিনা বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তার দল ও পরিবারের অবদান থেকে রাজনৈতিক সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু দেশজুড়ে ছাত্রদের বিক্ষোভ সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছে— বিক্ষোভ ও প্রতিবাদকারীদের রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করার কৌশল আর কোনো কাজই করেনি।
মূলত শেখ হাসিনা যখন গত জুলাই মাসে বিক্ষোভকারীদের “রাজাকার” হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলেন, তখন তার এই কৌশল বিপরীতমুখী ফল দিয়েছিল। আর সেটি দেশকে জর্জরিত বাস্তব সামাজিক ও অর্থনৈতিক উদ্বেগের মধ্যেও ক্ষোভের দিকে নিয়ে যায়।
এছাড়া নয়াদিল্লির প্রতি “নতজানু” হওয়ার জন্য হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশিদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে হাসিনার “অতি ঘনিষ্ঠ” সম্পর্কের জন্য বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভও ছিল। অনেকে মনে করতেন, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারত খুব বেশি করে জড়িয়ে পড়ছে এবং হাসিনার প্রতি প্রকাশিত ক্ষোভকে “ভারত-বিরোধী” মনোভাব হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এছাড়া সংখ্যালঘু নিয়ে বাংলাদেশে সর্বদাই একটি আখ্যান বা বর্ণনা বিরাজমান আছে। আর সেটি ১৯৭১ সালের ঘটনাকে মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিজয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নয় বরং মুসলিম জাতির ট্র্যাজেডি এবং দেশভাগের প্রতিশ্রুতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।
ঢাকায় হাসিনা-পরবর্তী সরকার ব্যবস্থায় ইসলামপন্থি জামায়াতে ইসলামীর শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। আর এই সব বিষয়ই বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হাত প্রসারিত করার জন্য পাকিস্তানের পক্ষে আদর্শ পরিস্থিতি গড়ে তুলেছে।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক
হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দিকে মনোযোগ দেখিয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং ড. ইউনূস গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি বলেছেন, “আমাদের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সামুদ্রিক সংযোগ অপরিহার্য”। একইসঙ্গে বিভিন্নখাতে সহযোগিতা বাড়াতে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের একটি “নতুন পৃষ্ঠা” খোলার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া ভারতে পালিয়ে থাকা ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার প্রত্যর্পণও চাইছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এই স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে এবং তাকে গণহত্যা, হত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার জন্য ঢাকার আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তলব করা হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ-বিক্ষোভের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালানোর দোষী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা নিশ্চিত করার দিকে তার সরকার মনোযোগ নিবদ্ধ করেছে।
গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এই সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে গত রোববার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ৮৪ বছর বয়সী ড. ইউনূস বলেন, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর করিম খানের সাথে কথা বলেছেন। আমরা ভারত থেকে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের প্রত্যর্পণ চাইব বলেও জানান তিনি।
এর আগে এই মাসের শুরুতে হাসিনার সরকারের পলাতক নেতাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের “রেড নোটিশ” অ্যালার্ট জারির অনুরোধ করে বাংলাদেশ। মূলত পলাতকদের সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সতর্কতার জন্য বিশ্ব পুলিশ সংস্থা কর্তৃক রেড নোটিশ জারি করা হয়ে থাকে।
ভারত ইন্টারপোলের সদস্য, কিন্তু রেড নোটিশের অর্থ এই নয় যে— নয়াদিল্লিকে হাসিনাকে হস্তান্তর করতে হবে। অবশ্য সদস্য দেশগুলো “কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে হবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব আইন প্রয়োগ করতে পারে”।
ভারতের ওপর প্রভাব
পাকিস্তানের সাথে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যের পাশাপাশি ইসলামাবাদ এবং ঢাকার মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক ভারতের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ হয়ে উঠতে পারে। নয়াদিল্লির জন্য আরেকটি নিরাপত্তা উদ্বেগ হচ্ছে— এমন কার্যকলাপে পাকিস্তানের শক্তিশালী গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর সম্পৃক্ততা।
কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমলেও বেড়েছে পণ্য পরিবহন
বছরের পর বছর ধরে, ভারত শেখ হাসিনার সাথে তার সম্পর্ককে ব্যবহার করেছে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকলাপের ওপর নজর রাখতে। ২০০৪ সালে এই বন্দরে প্রায় ১৫০০ বাক্স চীনা গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। অস্ত্রের সেই চালানটি ভারতে নিষিদ্ধ “সন্ত্রাসী সংগঠন” উলফা (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম)-এর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
ড. ইউনূস অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন, দেশে সাম্প্রতিক সরকার পরিবর্তন সত্ত্বেও ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক “খুব ঘনিষ্ঠ” হওয়া উচিত এবং সেটি উভয় দেশের স্বার্থেই। গত অক্টোবরে তিনি বলেছিলেন, “দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্যই খুব ঘনিষ্ঠ হতে হবে। এর কোনো বিকল্প হতে পারে না। তাদের (ভারতের) এটি দরকার, আমাদেরও এটি দরকার। অর্থনীতি, নিরাপত্তা বা পানির বিষয়ে হোক না কেন, যেকোনো দিক থেকেই এটি অপরিহার্য।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনা সম্পর্কে তার মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেসময় বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা ভারতকে “নিরাশ” করতে পারে এবং “তারা পরিবর্তনে সন্তুষ্ট নয়”। তবে তিনি কোনও ঘটনার উল্লেখ করেননি।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের জন্য একে অপরকে ছাড়া চলা কঠিন হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং এটাই স্বাভাবিক।”
সেসময় তিনি বলেছিলেন, দক্ষিণ এশীয় কূটনীতির বিষয়ে তার অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার এবং “একইসাথে, সার্ক (সাউথ এশিয়ান এসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন)” শক্তিশালী করার ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে।