‘মহাকাশে ভ্রমণে যেতে চান এমন যে কাউকে’ মঙ্গল অভিযানে নিয়ে গেলেও কমলা হ্যারিস মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাকে সেখানে না নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইলন মাস্ক।
রোববার রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ মাস্ক লিখেছেন, কেবল দুই বছরের মধ্যে মঙ্গলে পাঁচটি মহাকাশযান পাঠাবেন তিনি।“অবশেষে, হাজার হাজার স্টারশিপ মঙ্গল গ্রহে যাবে এবং দেখার জন্য এক গৌরবময় দৃশ্য হবে এটি!”তবে ডনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে সোচ্চার এই সমর্থক বলেছেন, লাল ফিতার দৌরাত্ম দেখিয়ে এই ‘মঙ্গল অভিযান কর্মসূচিকে ধ্বংস করার পাশাপাশি মানবতাকেও ধ্বংস করবে’ আরেক ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
এর আগে মাস্ক বলেছেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা জিতলে আমরা কখনোই মঙ্গলে যেতে পারব না।”একই দাবি রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পও করেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাইনিউজ।শনিবার ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন, আমার দলের সমর্থকরা আমাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে হোয়াইট হাউসে নিয়ে গেলে আমি তাদের মঙ্গলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবো।
এক সমাবেশে ট্রম্প বলেন, “আমি ইলনের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলব। ইলন তুমি ওই রকেট শিপের কাজ চালিয়ে যাও।”মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ‘হাই-রিস্ক হাই রিওয়ার্ড’ মনোভাবের জন্য পরিচিতি আছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন কোম্পানি স্পেসএক্স-এর। আর এখন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীদের আনানেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্টের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র প্রধান পরিবহন মাধ্যমও স্পেসএক্স।ধারাবাহিকভাবে মহাকাশ গবেষণা খাতে উদ্ভাবন করে চলেছে স্পেসএক্স। সম্প্রতি একজন আমেরিকান শত কোটিপতিকে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিগত স্পেসওয়াকে অংশ নেওয়া প্রথম ব্যক্তি হতে সহায়তা করেছে কোম্পানিটি।
গত দুই দশকে স্পেসএক্সের উত্থান সত্ত্বেও মাস্ক বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমলাতন্ত্র ও বিভিন্ন বিধিনিষেধ যেভাবে ‘দমবন্ধ’ পরিস্থিতি তৈরি করছে তাতে তিনি হতাশ।“এই মুহূর্তে আমার সবচেয়ে বড় উদ্বেগগুলোর মধ্যে একটি হল— স্টারশিপ প্রোগ্রামটি সরকারি আমলাতন্ত্রের বোঝার মাধ্যমে দমন করা হচ্ছে, আর এটি প্রতি বছরই বাড়ছে।মাস্কের মনুষ্যবিহীন বিভিন্ন স্টারশিপ যদি দুই বছরের মধ্যে নিরাপদে মঙ্গলে পৌঁছাতে পারে তবে ২০২৮ সালের মধ্যে তিনি মানববাহী মিশন পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।এর আগে মাস্ক বলেছিলেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে মঙ্গলে একটি স্বনির্ভর জনবসতি দেখতে চান তিনি।