প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আমরা ভেবেছিলাম টিকায় করোনা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকাসহ সারাবিশ্বে করোনা মহামারির দ্বিতীয় দফায় প্রভাব বেড়েছে। করোনার প্রভাব বাড়ায় দেশের রফতানি আয়ের প্রধান উৎস পোশাকখাতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেলে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র নির্বাচনে ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, চমৎকার পরিবেশে বিজিএমইএ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারাবিশ্বে করোনা মহামারির দ্বিতীয় দফায় প্রভাব বেড়েছে। নতুন কমিটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে করোনা মোকাবিলা করা।
এ নির্বাচনের সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার ফারুক হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি উদ্যোক্তাদের কাছে কমিটমেন্ট করেছি এ খাতের উন্নয়নে আগামী দুই বছর নিজেকে উৎসর্গ করবো। বিজিএমইএ’র সদস্যরা আমাকে সে সুযোগ করে দেবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি আমার পূর্ণ প্যানেলসহ জয়লাভ করবো।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকে। ফলাফল যাই হোক, আমি মেনে নেব। তবে বিজয়ী হলে আমার প্রথম কাজ হবে কারখানা সচল রাখা এবং মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়ন। সরকারের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে এ খাতের উন্নয়নই বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
ফোরামের প্যানেল লিডার এ বি এম সামছুদ্দিন বলেন, ‘আমি কাজে বিশ্বাসী। পোশাকখাতের উন্নয়নে আরও কাজ করার আছে। টেকসই পোশাক শিল্প গড়াই আমার লক্ষ্য। শুধু আমি না সদস্যরা আমার পূর্ণ প্যানেলকে বিজয়ী করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল থেকে লকডাউন শুরু হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিয়ে কাজ চলমান রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। একের পর এক ঝড় আসছে, এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এ খাতকে এগিয়ে নিতে হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ভোট সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে হচ্ছে। নতুন বোর্ডের কাছে পণ্যের দাম বাড়ানোসহ অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তাছাড়া বিজিএমইএ’র ভাবমূর্তির বিষয়ও আছে। আশা করছি, আগামীর বোর্ড এ খাতের উন্নয়নে আরও কাজ করবে।