আমের পর এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাসছে খুলনার তরমুজের জিলাপি তৈরির কথা।
সম্প্রতি রাজশাহীতে কাচা আমের জিলাপি তৈরির ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। কিন্তু আজ (১৫ এপ্রিল) বিকালে ভোক্তা অধিকারের জেলা কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে জানতে পারেন,আসলে তারা কোন প্রকার আম ব্যবহার না করে শুধুমাত্র বিষাক্ত রং এবং সুগন্ধি ব্যবহার করে আমের জিলাপি বলে বিক্রয় করছেন। পরবর্তীতে জিলাপি তৈরি করা প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
খুলনার তরমুজের রসে টসটসে এই জিলাপি কিনতে এবং দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন তার দোকানে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বেচা-বিক্রিও বেশ ভাল হচ্ছে। ইফতারিতে যারা জিলাপি পছন্দ করেন কিন্তু ডায়াবেটিস এর জন্য খেতে পারেন না। তাদের জন্য এটি একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইফতারে।
এই মন মাতানো জিলাপি পাওয়া যাচ্ছে খুলনার খালিশপুর এলাকার (বিআইডিসি সড়কে) চিত্রালী বাজারে। নাম ‘তরমুজের জিলাপি’। এ এলাকার বিখ্যাত মিষ্টির দোকান ‘ইসলামীয়া মিষ্টি ঘর’-এর তৈরি এই মিষ্টান্ন ভোজনবিলাসীদের নজর কেড়েছে। শুধু এ এলাকায় নয়, এর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের এলাকায়ও। বিভিন্ন এলাকার মানুষ কৌতুহলী হয়ে উঠছেন এই জিলাপির স্বাদ নিতে। এই জিলাপি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে দুইশ’ ৫০ টাকা দরে।
জানতে চাইলে জিলাপি বিক্রেতা মো. আব্দুস সোবহান রিপন বলেন, ‘এ অঞ্চলে তরমুজের ব্যাপক ফলন হয়। তাই তরমুজ দিয়ে কিছু করার আগ্রহ থেকেই আমি তৈরি করেছি এই জিলাপি।’
রিপন বলেন, ১৯৮৭ সাল থেকে আমাদের এ মিষ্টির ব্যবসা। অনেকেই আসছেন। কিনছেন। আবার অনেকে দেখছেন। অন্য জিলাপির মতো করে অন্য সব উপকরণের সঙ্গে তরমুজ ব্লেন্ড করে দিয়ে তৈরি করছি এই জিলাপি।’
তিনি বলেন, ‘গত ৩ দিন আগে প্রথম এই জিলাপি, দোকানে বিক্রির জন্য তৈরি করি। বেশ সাড়া পাচ্ছি।’
মো. আহাদ শিকদার নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘আমি গতকাল কিনেছিলাম আজও কিনছি। সাধারণত জিলাপি মিষ্টি হয়, এই জিলাপিও মিষ্টি। কিন্তু স্বাদ অন্যরকম। ভালই লাগে। তরমুজ তরমুজ ভাব আছে।
পি এস/এন আই