আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ভালো করায় আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহদের। এর মধ্যে ব্যাটারদের তালিকায় ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে পৌঁছেছেন অধিনায়ক শান্ত।
আফগানিস্তান সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে ৪৭ ও ৭৬ রানের ইনিংস খেলে নাজমুল হোসেন শান্ত এগিয়েছেন ১১ ধাপ। কুঁচকির চোটের কারণে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। এর পরও ৬০৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে যৌথভাবে ২৩ নম্বরে আছেন তিনি। এটি তাঁর ক্যারিয়ারসেরা অবস্থান। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সবার ওপরেও আছেন তিনি। প্রথম ম্যাচের পর চোটে ছিটকে যাওয়া মুশফিকুর রহিম ৭ ধাপ পিছিয়েছেন, আছেন ৩০ নম্বরে। শেষ ওয়ানডেতে ৯৮ রানের ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহ এগিয়েছেন ১০ ধাপ। তাঁর বর্তমান অবস্থান ৪৪তম। ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বাবর আজম।
বুধবার হালনাগাদকৃত আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে দেখা যায়, ওয়ানডেতে পেসার শরীফুল ইসলাম নেমে গেছেন ১০ ধাপ (৩৪ নম্বরে)। অন্যদিকে, মুস্তাফিজুর রহমান এগিয়েছেন ৬ ধাপ (৩৭ নম্বরে)। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে ৩ উইকেট নেওয়া স্পিনার নাসুম আহমেদ বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে লম্বা লাফ দিয়েছেন। ৪৯ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৭২তম স্থানে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতিয়ে বোলারদের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। সিরিজসেরা হওয়া হারিস রউফ ১৪ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ারসেরা ১৩তম স্থানে আছেন।
অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে চার ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন মিরাজ। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারের রেটিং পয়েন্ট ২৫২। ৩৮.৬৬ গড় ও ৫৭.৬৬ স্ট্রাইক রেটে আফগানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে করেছেন ১১৬ রান। বোলিংয়ে ৪.১০ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে ৯ ধাপ এগিয়ে ২৩ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন মোহাম্মদ নবী।