মুদ্রানীতি নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। বরং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের নামে সংকোচিত মুদ্রানীতি অর্থনীতিতে নানামুখী সংকোট তৈরি করবে। এক্ষেত্রে দেশের বাস্তবতা আমলে না নিয়ে শুধু আইএমএফের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন ঠিক নয়। কারণ বিভিন্ন দেশ আইএমএফের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ফকির হয়ে গেছে এমন অনেক নজির রয়েছে।
আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সিপিডির ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের উন্নয়নে স্বাধীন পর্যালোচনা শীর্ষক দ্বিতীয় অধিববেশনে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, অর্থনীতির বিভিন্ন খাত নিয়ে আরও গভীরভাবে গবেষণা দরকার। কারণ বর্তমানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনশীল মাদ্রানীতি চলমান রয়েছে। কিন্তু এ পদ্ধতি অনেকটা অকেজ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সংকোচনশীল মাদ্রানীতির ফলে চাহিদা কমায় বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান কমছে। সুদহার বাড়িয়ে ইউরোপ–আমেরিকায় মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হলেও বাংলাদেশে তা সম্ভব নয়। কারণ ওইসব দেশের অর্থনীতি পুরোপুর কর্মসংস্থান নির্ভর হলেও বাংলাদেশে সে রকম অবস্থা নয়। এক্ষেত্রে শুধু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত বাস্তবায়ন না করে দেশের অর্থনৈতিক ধারা আমলে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ অনেক দেশ আইএমএফের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অনেক দেশ গরিব হয়ে গেছে।
সিপিডি বোর্ড অব ট্রাস্টি এম সাইদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন, সিপিডি বোর্ড অব ট্রাস্টি রাশেদা কে চৌধুরী, সাবেক অর্থসচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এম এম আকাশ, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।