বৈথ নথিপত্র ছাড়া অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় পাঁচ বাংলাদেশি ও দুই রোহিঙ্গাকে আটক করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে বলে রোববার ত্রিপুরা পুলিশ জানিয়েছে।
শনিবার অভিযান চালিয়ে ত্রিপুরার ঢালাই জেলা থেকে পাঁচ বাংলাদেশি ও সন্দেহভাজন দুই ভারতীয় দালালকে আটক করেছে পুলিশ। ওই দুই দালাল অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশিদের ভারতে প্রবেশে সহায়তা করেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ঢালাই জেলায় আটক বাংলাদেশিদের সবাই মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার বাসিন্দা। তিনি বলেছেন, আটককৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। এই ঘটনায় আটক দুই ভারতীয় নাগরিক অর্থের বিনিময়ে অবৈধ অভিবাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) বলেছেন, এর আগে শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়েছে সরকারি রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)। এ সময় সেখান থেকে অন্তত দুই রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, আটককৃতরা বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে তারা ভারতে প্রবেশ করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
আগরতলা জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাপস দাস বলেন, আটককৃত রমজান আলী ও আজিদা বেগম আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরার আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান। পরে তারা সেখান থেকে ট্রেন যোগে কলকাতা যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
ত্রিপুরায় আটক বাংলাদেশি ও ভারতীয় দালালদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের কর্মকর্তারা।