ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে আজ অনেকটাই সুস্থ বলিউড অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী। প্রায় ৮ বছর পর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি জিফাইভে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত নতুন সিরিজ ‘দ্য সিগনেচার’। ভারতীয় গণমাধ্যমে তাঁর নতুন জার্নির অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এত বছর পর ফিরে এসে দর্শকের ভালোবাসা পেয়ে দারুণ লাগছে। ‘দ্য সিগনেচার’-এর শুটিংয়ের সময়ও আমার ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছিল। ঘোরের মধ্যে ছিলাম। নিজেকে সবসময় পজিটিভ রাখার চেষ্টা করতাম।’
মহিমা আরও জানান, গত আট বছরে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি অনেকটা বদলে গেছে। এখন সিনেমা আর সিরিজে নারী চরিত্রদের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে।
তাঁর ভাষ্যে, ‘দ্য সিগনেচার’-এর শুটিংয়ের সময় আমি অতটা খেয়াল করিনি। কারণ, জোহর প্রযোজিত ‘নাদানিয়া’ ছবির শুটিংয়ের সময় দেখলাম, এখন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচালক, সহপরিচালক, লেখক, সম্পাদক, মেকআপ আর্টিস্টসহ বিভিন্ন বিভাগে মেয়েদের দাপট বেশি। এটা আমার দারুণ লেগেছে। এখন একজন অভিনেতার চার-পাঁচ জন ম্যানেজার! অভিনেতারা আবার নিজের সঙ্গে মেকআপ আর্টিস্ট নিয়েও ঘোরেন। অভিনয় ছাড়া ইভেন্ট, শো আরও নানান উপায়ে অর্থ উপার্জন করেন। কাজের পরিধি অনেকটাই বেড়েছে। এটাও একটা ভালো দিক।’
দীর্ঘ সময় বলিউড থেকে দূরে থাকলেও গ্ল্যামার দুনিয়ার চাকচিক্য মিস করেননি অভিনেত্রী; বরং পরিবারের সঙ্গে নানা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে আরিয়ানার বেড়ে ওঠার প্রতিটা মুহূর্তের সাক্ষী হতে চেয়েছিলাম। মাতৃত্বকে উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। ওকে বাড়িতে রেখে বাইরে গিয়ে কাজ করতে চাইনি। ফলে মেয়েকে নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে, বলিউডকে মিস করার সুযোগ পাইনি।’
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বললেন, ‘শুরু থেকে আমি মনোবল হারাইনি। মনে মনে বলতাম, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। এর থেকে অনেক বড় লড়াই মানুষকে প্রতিদিন লড়তে হয়। বাবা, মা, বোন, মেয়ে আমাকে সবসময় সাপোর্ট করেছে।