বলিউডের আবেদনময়ী নায়িকা টাবু পা দিয়েছেন ৫৪ বছরে। তিন দিন আগেই বয়স ৫৩ পেরিয়েছেন। কিন্তু আজও তিনি অবিবাহিত। ১৯৮০ সালে বলিউডে অভিষেক হয় এই নায়িকার। অভিনয় জীবনে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয় দক্ষতা দেখিয়ে মন জয় করেছেন ভক্ত-সমালোচক থেকে দর্শকদের।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে এক ধর্ষিতা কিশোরীর চরিত্রে অভিনয় করে চলচ্চিত্র সমালোচকদের একেবারে চমকে দিয়েছিলেন টাবু। বাণিজ্যিক সিনেমা থেকে অন্যধারার সিনেমায় তাঁর অবাধ যাতায়াত। সেই টাবু জানান, অভিনেতা অজয় দেবগনের জন্যই তিনি আজও অবিবাহিত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে টাবু জানিয়েছিলেন, কেন তিনি বিয়ে করছেন না।
তাহলে কি জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজলের স্বামী অজয়ের সঙ্গে প্রেম করতেন এই নায়িকা? ব্যাপারটা আসলে একেবারেই তা নয়। টাবুর ভাই আর্য ও অজয় দেবগন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। টাবুর যে সময় প্রেম করার বয়স ছিল, সেই সময় তাঁকে চোখে চোখে রাখতেন অজয় ও আর্য। অভিনেত্রীর কথায়, যে ছেলের সঙ্গে টাবু বন্ধুত্ব করতেন, তাঁকেই হুমকি-ধমকি দিয়ে বিদায় করতেন অজয়। সে কারণেই আজও তাঁর বিয়ে হয়নি বলে জানান টাবু। কিন্তু এ কথা মানতে নারাজ নায়িকার ভক্তরা। তাঁর বিয়ে না করার পেছনে অন্য কারণ আছে বলে ধারণা সবার।
অভিনেত্রী হিসেবে টাবুর প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ভেঙ্কটেশের সঙ্গে তেলুগু ভাষায় ‘কুলি নম্বর ওয়ান’। ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে বনি কাপুর দুটি বড় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। সেগুলো হলো– ‘রূপ কি রানী চোরো কা রাজা’ ও ‘প্রেম’। প্রেম ছবিতে টাবু সঞ্জয় কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেন। এটি নির্মাণ করতে আট বছর সময় লাগে এবং কিন্তু ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়।
মুখ্য অভিনেত্রী হিসেবে তাবুর প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র ছিল ‘পেহলা পেহলা প্যায়ার’, যা তেমন সাড়া পায়নি। তিনি অজয় দেবগনের বিপরীতে ‘বিজয় পথ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রথম খ্যাতি অর্জন করেন এবং এই কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। এর পর তাঁর বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। যদিও এই সময়ে তিনি ব্যবসাসফল ‘হকিকত’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
কালাপানি, কাদাল দেসাম, বিরাসত, হু তু তু, কান্দুকোন্দাইন কান্দুকোন্দাইন, অস্তিত্ব, চাঁদনি বার, মকবুল, চিনি কম, হায়দার, দৃশ্যম, সজন চলে সসুরাল, বর্ডার, চাচি ৪২০, বিবি নাম্বার ওয়ান, হাম সাথ-সাথ হ্যায়, হেরা ফেরি, ফনা, জয় হো ও গোলমাল অ্যাগেইন, আন্ধাধুন চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সমাদৃত হন তিনি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর কাজের মধ্যে রয়েছে নাট্যধর্মী দ্য নেমসেক চলচ্চিত্রে মিরা নায়ার এবং অ্যাং লির ব্যবসাসফল রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র লাইফ অব পাই সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
তিনি দু’বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছাড়া রেকর্ডসংখ্যক চারটি সমালোচক পুরস্কারসহ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে সাতটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১১ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য চতুর্থ সর্বোচ্চ ভারতীয় বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রীতে ভূষিত হন এই নন্দিত অভিনেত্রী।