এটি পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলের পর্বতমালা কর্দিলের দে লা কোস্তা এবং পূর্বে আন্দেস পর্বতমালা দ্বারা আবদ্ধ। প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার ভূমিজুড়ে এর বিস্তৃতি। মেরু প্রদেশের এই মরুভূমি অঞ্চল আতাকামাকে বিশ্বের মধ্যে সব থেকে শুষ্কতম অঞ্চল বলে গণ্য করা হয়।
পাশাপাশি এটি একমাত্র প্রকৃত মরুভূমি যেখানে মেরু মরুভূমির চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়। মঙ্গল অভিযানের সিমুলেশনের জন্য পৃথিবীতে পরীক্ষামূলক সাইট হিসেবে ব্যবহৃত হয় আতাকামা মরুভূমি।
উত্তর প্রবাহিত হামবোল্ট মহাসাগরের স্রোত এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অ্যান্টিসাইক্লোনের উপস্থিতির কারণে মরুভূমিটি অত্যন্ত শুষ্ক অঞ্চল হয়ে উঠেছে। মরুভূমির এই শুষ্ক অঞ্চলটি প্রশান্ত মহাসাগর বা আটলান্টিক মহাসাগর থেকে আর্দ্রতা রোধ করতে বেশ উচ্চতাসম্পন্ন দুটি পর্বতমালা আন্দিজ এবং চিলির উপকূল রেঞ্জের ম্ধ্যে অবস্থিত।
আতাকামা মরুভূমিটি পুরো গাছপালাবর্জিত। ১৮ থেকে ১৯ শতকে রুপালি এবং সল্টপিটার খনির সঙ্গে যুক্ত জ্বালানি কাঠের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বন উজাড় হয়ে যায়। পৃথিবীর প্রাচীনতম মরুভূমি, কমপক্ষে তিন মিলিয়ন বছর ধরে হাইপারডিটির ফলে এটি শুষ্ক এবং সবচেয়ে পুরোনো অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। আতাকামা মরুভূমির কিছু অংশে শুষ্ক অবস্থা প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে।
আতাকামা এতটাই শুষ্ক যে, ৬০০০ মিটার উঁচু অংশটাও হিমবাহ থেকে মুক্ত। শুধু সর্বোচ্চ চূড়া ওজোস দেল সালাডো, মন্টে পিসিস এবং লুল্লাইলাকোতে কিছু স্থায়ী তুষার রয়েছে। ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন কিছু নদীর তল ১২০ হাজার বছর ধরে শুকিয়ে রয়েছে।
পিএসএন/এমঅাই