বাগেরহাটে খান জাহান আলী (রহ.) এর মাজারের দীঘিতে মারা যাওয়া কুমিরের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) গভীর রাতে দীঘির প্রধান ঘাট সংলগ্ন এলাকায় কুমিরটি মাটিচাপা দেওয়া হয়।
এর আগে দুপুরে দিঘির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পুরুষ (বড়) কুমিরটির মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন, মাজার কর্তৃপক্ষ, খাদেমসহ দর্শনার্থীরা মাজার প্রাঙ্গণে ভিড় করেন। বিকেল ৫টার দিকে দিঘি থেকে কুমিরটিকে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনার পরিচালক ডা. মো. লুৎফর রহমানের তত্ত্বাবধানে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় কুমিরটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
ডা. লুৎফর রহমান বলেন, কুমিরটির শরীরে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিল না। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য কুমিরের দেহের প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেতে আনুমানিক দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। তখন মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের ১২ জুন এই কুমিরটি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তখন পানির ওপরে শুকনো জায়গায় দুই সপ্তাহ রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। কুমিরটির মাথা ও চোখে কিছু সমস্যা ছিল। আমরা তখন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছিলাম। তারপর বেশ সুস্থ ছিল।
খান জাহান আলী (রহ.) এর মাজারের প্রধান খাদেম ফকির শের আলী বলেন, কুমিরটি ঘাটের পাশে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। কুমিরটির মৃত্যুতে আমরা খুবই কষ্ট পেয়েছি। এই দীঘির অন্যতম ঐতিহ্য মিঠা পানির কুমির। এই দীঘিতে বর্তমানে একটি নারী কুমির রয়েছে। এই কুমিরটিকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কাছে আবেদন জানাই।