এবার ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। মাস শেষ হওয়ার আগেই প্রায় ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চলতি মার্চ মাসের ২৬ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩৩ কোটি ডলার বা ৮২ শতাংশ বেশি। গত বছর মার্চ মাসের ২৬ দিনে ১৬১ কোটি ৪০ লাখ ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল।
দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলারের রেকর্ড ছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। চলতি মাসে প্রায় ৩৫০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে মাসের হিসাবে অনেক বড় ব্যবধানে নতুন রেকর্ড হতে যাচ্ছে। হুন্ডি কমে যাওয়া এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধি সার্বিকভাবে রেমিট্যান্স বাড়ার কারণ বলে ব্যাংকাররা জানিয়েছেন। বর্তমানে প্রতি ডলারে একজন রেমিট্যান্স গ্রহীতা ১২১ থেকে ১২২ টাকা পাচ্ছেন। এর সঙ্গে আড়াই শতাংশ সরকারি প্রণোদনা রয়েছে। ফলে এক ডলারে ১২৫ টাকার মতো পাওয়া যাচ্ছে। মানি এক্সচেঞ্জ বা খোলাবাজারের রেট এর চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে কম।
এদিকে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যা ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। ওই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬৬৯ কোটি ২০ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সমকালকে বলেন, অর্থপাচার প্রতিরোধে বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আবার ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠিয়ে প্রণোদনাসহ এখন যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে, তা খোলাবাজারের চেয়েও বেশি।