আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সামনে রেখে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
এবারের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডে এ বছর মোট ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
২ ডিসেম্বর থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন করতে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
পাবলিক পরীক্ষার সময় কোচিং বন্ধ থাকার কথা থাকলেও অনেকাংশেই কোচিং সেন্টারের মালিকরা তা মানেন না- এ বিষয়ে দীপু মনি বলেন, কোচিং সেন্টারগুলো সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত। আমাদের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যেমন কাজ করেন একইভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সবাই আমাদের সহযোগিতা করেন।
তিনি বলেন, কোচিং সেন্টারগুলোতেতো নানা ধরনের কোচিং হয়। সে বিবেচনায় স্থানীয় পর্যায়ে হয়তো মনে করা হয়, এটা বিদেশি পরীক্ষার কোচিং কিংবা ইউনিভার্সিটি পরীক্ষার কোচিং হচ্ছে কিংবা বিসিএস পরীক্ষার কোচিং হচ্ছে বা আইএলটিএস পরীক্ষার কোচিং হচ্ছে, সে কারণে কিছু ছাড় দেওয়া যায় কিনা, অনেক সময় এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা হয়।
মন্ত্রী বলেন, যেহেতু আমরা দেখেছি যে কখনো কখনো কোচিং সেন্টারকে ভিত্তি করেই প্রশ্নপত্র ফাঁস করার একটা অপচেষ্টা কিংবা গুজব ছড়ানোর একটা অপচেষ্টা কখনো দেখা দেখা যায়, একটা যোগসূত্র থাকে, সে কারণেই কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, আজকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের যে সভা হয়েছে, সেখানেও নির্দেশনাটিই দিয়েছি। আশা করবো সংশ্লিষ্ট সবাই তাদের দায়িত্ব পালন করবে। বিশেষ করে কোচিং সেন্টারগুলোর কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, তারা তাদের এ কোচিং বন্ধ রাখবেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ অংশ নেন। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন।