রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৮ জন ও নারী ২০ জন।
৫৮ জনের সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ২১৩ জন।
একই সময়ে দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ৫ হাজার ৬৩৮ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জন।
পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে- ছয় হাজার ৮৩০ ও ছয় হাজার ৪৬৯ জন।
শনিবার (৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (কোভিড ইউনিট) ডা. মো. ইউনুস স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৫৮ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৬ জন এবং ষাটোর্ধ ৩৪ জন রয়েছেন।
একই সময়ে বিভাগওয়ারি দেখা গেছে, মৃত ৫০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৯ জন, চট্টগ্রাম ১২ জন, খুলনায় তিনজন, বরিশালে দুইজন, রংপুরে একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে একজন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ২২৭টি সরকারি-বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে ২৪ হাজার ১০০টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৪ হাজার ৫৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ৬৬১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।
একই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৩৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৫ জন হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
এদিকে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে শিল্পকারখানা।